ইউরো কাপ

আলবেনিয়াকে হারিয়ে ইতালির শুভসূচনা

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ১১:২০ এএম
আলবেনিয়াকে হারিয়ে ইতালির শুভসূচনা

ঢাকা:  ম্যাচ শুরু হতেই ইতালির জালে জড়াল বল, হলো রেকর্ড। অভাবনীয় কিছুর সম্ভাবনাও জাগল। তবে ঘুরে দাঁড়াতে একদমই সময় নিল না ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।

পাঁচ মিনিটে দুই গোলের পর, বাকিটা সময় আধিপত্য ধরে রেখে দারুণ জয় তুলে নিল লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ভীষণ কঠিন গ্রুপে পড়েছে ইতালি। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়াও থাকায় ‘বি’ গ্রুপকে বলা হচ্ছে ‘গ্রুপ অব ডেথ।’ কঠিন সেই পথচলার শুরুতে শনিবার রাতে আলবেনিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আজ্জুরিরা।

নিজেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ার ১০ মিনিট পরই সমতা টানেন আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি। একটু পরই দলকে এগিয়ে নেন নিকোলো বারেল্লা। কেবলই দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোয় খেলার টিকেট পাওয়া আলবেনিয়ার ম্যাচের শুরুটা হয় স্বপ্নের মতো। প্রতিপক্ষের অমার্জনীয় ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২৩ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় তারা।

নিজেদের সীমানায় থ্রোয়িং পেয়েছিল ইতালি। ডিফেন্ডার ফেদেরিকো দিমারকো বক্সে সতীর্থকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টায় গড়বড় করে ফেলেন। আলগা বল ধরে বক্সে একজনকে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে শটে পোস্ট ঘেঁষে জালে পাঠান নেদিম বাইরামি।

ইউরোর ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেককর্ডটি এখন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। আগের দ্রুততম গোলের রেকর্ড ছিল রাশিয়ার দিমিত্রি কিরিচেনকোর, ৬৭ সেকেন্ডে। এরপর যেন তেতে ওঠে ইতালি। দু্ই মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার একটি সুযোগও পেয়ে যায় তারা; কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লরেন্সো পেল্লেগ্রিনি।

একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে একাদশ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় ইতালি। রোমার মিডফিল্ডার পেল্লেগ্রিনির বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রস পেয়ে জোরাল কোনাকুনি হেডে সমতা টানেন ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি।

ইতালির চূড়ান্ত দল ঘোষণার সময় চোটের সঙ্গে লড়ছিলেন বারেল্লা। তারপরও তাকে দলে রাখেন কোচ স্পালেত্তি। সব শঙ্কা কাটিয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে আস্থার প্রতিদান দিতেও দেরি করেননি ইন্টার মিডফিল্ডার।

ষোড়শ মিনিটে প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণে সুযোগ পেয়েও দলকে বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় আলবেনিয়ার ডিফেন্ডাররা। প্রতিপক্ষের পা হয়ে আসা বল বক্সের বাইরে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে গোলটি করেন বারেল্লা। ৩৩তম মিনিটে গোলরক্ষকের নৈপুণ্য আর ভাগ্যের জোরে তৃতীয় গোল খায়নি আলবেনিয়া। দাভিদে ফ্রাত্তেসির শট তমাস স্ত্রকশার প্রসারিত হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।

রেকর্ড গড়া ওই গোলের পর প্রথমার্ধে আর একবারও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি আলবেনিয়া। বল দখলে রাখায় এবং আক্রমণে এই সময়ে একচেটিয়া আধিপত্য করে ইতালি। বিরতির পরও একইভাবে চাপ ধরে রাখে ইতালি, যদিও পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না তারা। অবশ্য প্রথমার্ধের তুলনায় তাদের আক্রমণে ধার ছিল কম।

নির্ধারিত সময়ের একবারে শেষ মিনিটে সব উল্টে যেতে বসেছিল। বল ধরে বক্সে এগিয়ে যান রেই মানাই, দুরূহ কোণ থেকে নেন শট। তবে ঠিক সময়ে সেদিকে এগিয়ে যাওয়া গোলরক্ষক জানলুইজ দোন্নারুম্মার গায়ে লেগে বল দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

বল বেরিয়ে যেতেই হাত ছুঁড়ে উল্লাস প্রকাশ করেন পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। যোগ করা সময় পাঁচ মিনিট মিললেও আর তেমন কিছু করতে পারেনি আলবেনিয়া। জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে ইতালিয়ানরা।

এই গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন।

এআর

Link copied!