ঢাকা : চলতি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারার ব্যর্থতা মেনে নিলেন ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাতকো দালিচ। তার মতে, ফুটবলারদের বয়স হয়ে যাওয়ায় রক্ষণে দেখা দিয়েছে দুর্বলতা। টিকে থাকার লড়াইয়ে নামার আগে দলকে দিয়েছেন জেগে উঠার বার্তা। লুকা মদ্রিচদের বলেছেন, এতো জলদি তিনি বাড়ি ফিরতে চান না।
দুই ম্যাচ খেলে ফেলার পরও ইউরোতে এখনও জয়হীন ক্রোয়েশিয়া। শেষ ম্যাচে বিদায়ের শঙ্কা মাথায় নিয়ে ইতালির মুখোমুখি হবে তারা।
স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে ইউরোয় যাত্রা শুরু করে মদ্রিচের দল। শক্তিতে পিছিয়ে থাকা আলবেনিয়ার বিপক্ষে দুই গোল করলেও, সমান দুটি হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে তারা।
স্রেফ ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে তলানিতে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের রানার্স-আপরা। শেষ ষোলোর টিকেট পেতে সোমবার রাতে ইতালির বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই তাদের।
ওই ম্যাচে নামার আগে প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন দালিচ।
আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। নিজেদের স্বাভাবিক মানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি কারণ অনেক বেশি গোল হজম করছি। কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি গোল খেয়েছিলাম আমরা। এখানে এরই মধ্যে ৫টি!
ফুটবলারদের বয়স (কাতার বিশ্বকাপ থেকে) তিন বছর বেড়েছে। এখানেও আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলছি। এছাড়া মূল কারণ আসলে আমরা এখন বেশি গোল হজম করা শুরু করেছি।
জয় না পেলেও দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে পুরোপুরি ছড়ি ঘোরাতে দেয়নি ক্রোয়েশিয়া। স্পেনের পর আলবেনিয়ার বিপক্ষেও ৬০ শতাংশের বেশি সময় নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখে তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় দুই ম্যাচেই বেশ কিছু গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় তাদের।
ইতালির বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কিছু না ভেবে শুধু জয়ের জন্য নামার কথা বললেন ক্রোয়েশিয়া কোচ।
আমরা জানি, ম্যাচটি একরকম নক-আউট এবং এতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকবে না। তাই আমাদের শুধু জিততে হবে। জয় অবশ্যই পেতে হবে। অন্য কোনো ফল আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। এত জলদি আমরা ফিরতে চাই না।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :