ইউরো

টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে কাঁদিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৬:৪৯ এএম
টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে কাঁদিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

ঢাকা: ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে সুইসদের ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের খেলায় ১-১ সমতা থাকা ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের শেষের নায়ক জর্ডান পিকপোর্ড।

টাইব্রেকারে আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডসহ ইংল্যান্ডের সবাই বল জালে জড়ালেও সুইজারল্যান্ডের মানুয়েল আকাঞ্জির শট আটকে দেন ইংলিশ গোলকিপার। এই সেভই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।

মূল ম্যাচে ব্রিল এমবোলো সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন বুকায়ো সাকা। পেনাল্টি শুটআউটে মানুয়েল আকনজির দুর্বল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের পাঁচ শটের সবগুলোই যায় জালে।

টানা দুটি ইউরোসহ এই নিয়ে পাঁচবার বড় টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ, ইউরো) কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিল সুইসরা। প্রথমার্ধে দুই দল কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ালেও উল্লেখযোগ্য কিছু করে দেখাতে পারেনি কেউ। কোনো গোলরক্ষককেও দিতে হয়নি পরীক্ষা, লক্ষ্যে যে শটই নিতে পারেনি কেউ!

এই অর্ধের শেষ দিকে বক্সে কোবি মাইনোর শট প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সুইস অধিনায়ক গ্রানিত জাকা। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ইংল্যান্ড শট নিতে পারে ৫টি, সুইজারল্যান্ড ২টি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করে সুইজারল্যান্ড। ৫১তম মিনিটে বক্সে ঢুকে কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট করেন এমবোলো। লক্ষ্যে কোনো দলের প্রথম শট এটি।

দারুণ এক আক্রমণ থেকে ৭৫তম মিনিটে ‘ডেডলক ভাঙে’ সুইসরা। ডান দিক থেকে ফাবিয়ান শারের পাসে বলে পা ছোঁয়ালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস, দুরের পোস্টে স্লাইডে জালে পাঠান সুইস তারকা ফরোয়ার্ড এমবোলো। গোল হজমের পর একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনেন ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে শততম ম্যাচের মাইলফলক ছোঁয়া সাউথগেট।

৮০তম মিনিটে চমৎকার গোলে দলকে সমতায় ফেরান সাকা। ডেকলান রাইসের পাস ধরে একটু আড়াআড়ি এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে আর্সেনাল ফরোয়ার্ডের বাঁ পায়ের শট দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে শেষ ষোলোয় ২-০ গোলে হারানো সুইজারল্যান্ড যোগ করা সময়ে ভালো একটি সুযোগ পায়। তবে শারের ক্রসে বক্সে ঠিকমতো হেড করতে পারেননি এমবোলো। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৫তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে সুইজারল্যান্ডকে বাঁচান ইয়ান সমের। ২৫ গজ দূর থেকে রাইসের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি। ১০২তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে জুড বেলিংহ্যামের শট অনায়াসে ঠেকান ইন্টার মিলানের এই গোলরক্ষক। ১০৮তম মিনিটে দলের রেকর্ড স্কোরার হ্যারি কেইনকে তুলে ইভান টনিকে নামান সাউথগেট।

১১৩তম মিনিটে বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে কোনাকুনি শটে উড়িয়ে মারেন সুইস ডিফেন্ডার শার। ১১৮তম মিনিটে জেরদান সাচিরির কর্নার লাগে ক্রসবারে। পরের মিনিটে আমদোনির শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেও নায়ক পিকফোর্ড।

নকআউট পর্বের প্রথম দুই ধাপেই হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। শেষ ষোলোয় স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে যোগ করা সময়ের শেষ দিকে বেলিংহ্যামের গোলে ম্যাচে ফেরে তারা, অতিরিক্ত সময়ে কেইনের গোলে জেতে ২-১ ব্যবধানে। টানা দ্বিতীয় ফাইনাল থেকে আর এক জয় দূরে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।  

এআর

Link copied!