ঢাকা: বিশ্বকাপের ব্যস্ততা শেষে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা। মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) খেলছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এলপিএলে আছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাওহিদ হৃদয়।
ভিন্ন দুটি লিগে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারেরই সময়টা ভালো যাচ্ছে না। এলপিএলে খেলা তিন পেসার ও এমএলসিতে সাকিব-সবাই বল হাতে দেদার রান বিলিয়ে যাচ্ছেন। আর ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে হৃদয় তো এখনো মাঠেই নামার সুযোগ পাননি।
বিশ্বকাপ থেকেই বল হাতে ছন্দে নেই সাকিব। পুরো বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩টি। অনেক ম্যাচেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের আস্থাও হারিয়েছেন।
বেশির ভাগ ম্যাচেই বোলিং কোটার ৪ ওভার পূর্ণ করতে পারেননি। লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটেও বিবর্ণ বোলার সাকিবেরই দেখা মিলছে। এই লিগেও খেলা তিন ম্যাচেই বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেননি সাকিব।
প্রথম ম্যাচে টেক্সাস সুপার কিংসের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৩২ রান দেওয়া সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচে সান ফ্রান্সিসকোর বিপক্ষে দেন ২ ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। কাল সিয়াটল অরকাসের বিপক্ষে ২ ওভারে খরচ করেছেন ২৩ রান।
৩ ম্যাচ শেষে সাকিবের বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছে এমন-৭-০-৮২-১, ইকোনমি ১১.৭১। ব্যাট হাতে অবশ্য পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। খুব বেশি যে সেটা পেরেছেন, তা-ও নয়। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ১৮ রানের পর দ্বিতীয় ম্যাচে করেছিলেন ২৬ বলে ৩৫। সুযোগ ছিল কালও, কাজে লাগাতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৭ বলে ৭ রান করে।
ভিন্ন লিগে হলেও বল হাতে বড় ভাই সাকিবের পথে হেঁটেছেন বাংলাদেশের অন্য তিন বোলার। রান দিচ্ছেন হাত খুলে। এলপিএলে মোস্তাফিজ, তাসকিন, শরীফুল-এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রেট তাসকিনের। কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া এই পেসার ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ১০.২৭ করে।
সর্বশেষ ম্যাচেও ৩ ওভারে ৩৮ রান খরচ করেছেন তাসকিন। মোস্তাফিজুর রহমান ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ১১.০৬ করে। ডাম্বুলা সিক্সার্সের হয়ে খুব বেশি উইকেট নিয়েছেন, সেটাও না-৪ ম্যাচে ৫টি। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরচে শরিফুল।
৪ ম্যাচে ৪ উইকেট নিতে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১১.৬১ রান করে। ব্যাট হাতে মোস্তাফিজের সতীর্থ হৃদয় অবশ্য ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র দুটি। প্রথম ম্যাচে ১ রান করে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। এরপর থেকে একাদশেই জায়গা হচ্ছে না তার।
২৫ জুলাই থেকে শুরু হবে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ। সেই লিগে খেলবেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। বোলারদের দুর্দশা কাটানোর ভারটা এখন থাকছে এই দুজনের ওপর। বিশেষ করে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা রিশাদের ওপর।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :