ঢাকা: সাঞ্জু স্যামসন এবং তিলক ভার্মার বিস্ফোরক দুটি সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ১৩৫ রানের বিশাল জয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে সফরকারী ভারত।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সাউথ আফ্রিকার মিটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ভারত। প্রথমবার জিতেছিল ২০১৮ সালে, রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির যৌথ নেতৃত্বে। এ দিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লে'তেই ভারত তোলে এক উইকেটে ৭৩ রান।
১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে লুথো সিপামলার বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দলটির ওপেনার অভিষেক শর্মা। বাকি সময়টা ছিল স্যামসন এবং তিলকের মহাপ্রলয়। বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের দুই ব্যাটারের একই ইনিংসে সেঞ্চুরির ঘটনা এবারই প্রথম। স্যামসন-তিলক গড়েন ২১০ রানের অবিছিন্ন জুটি, যা স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ।
৫৬ বলে ছয়টি চার ও নয়টি ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত থাকেন স্যামসন। এ ছাড়া ৪৭ বলে নয়টি চার ও দশটি ছক্কায় ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক। ইনিংসে মোট ২৩ ছক্কায় বাংলাদেশকে একটি ব্রিবতকর রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে ভারত।
গত অক্টোবরে হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টির রাতে রেকর্ড ২৯৭ রান করার পথে ২২টি ছক্কা মেরেছিল ভারত, যা কোনো দলের বিপক্ষে ছিল তাদের সর্বোচ্চ। এবার সেই রেকর্ডই ভাঙল সূর্যকুমার যাদবের দল।
ম্যাচটিতে নিজেসহ ৭ বোলার ব্যবহার করেছেন সাউথ আফ্রিকার অধিনায়ক মার্করাম। এদের মধ্যে মার্কো ইয়ানসেন (১০.৫০) ছাড়া প্রত্যেকের ইকোনমি রেট ১৪-এর ওপরে! রান তাড়া করতে নেমে সাউথ আফ্রিকা ১০ রানেই ৪ উইকেট হারায়।
পঞ্চম উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবস এবং ডেভিড মিলার ৮৬ রানের জুটি গড়েন। ১৮.২ ওভারে দলটিকে ১৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ভারত ম্যাচটা জিতে বিশাল ব্যবধানে। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রানের হিসেবে এটাই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার।
ভারতের ৬ বোলারের প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। ২০ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার আর্শদিপ সিং। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী। একটি করে শিকার হার্দিক পান্ডিয়া, রমনদীপ সিং ও রবি বিষ্ণইর।
সিরিজে সর্বোচ্চ ২৮০ রান করে ম্যাচসেরার সঙ্গে সিরিজসেরার পুরস্কারটাও নেন তিলক। শেষ পাঁচ ম্যাচে এটি স্যামসনের তৃতীয় সেঞ্চুরি। যদিও গত দুটি ইনিংসে শূন্য রান করেন তিনি! তবে এক পঞ্জিকাবর্ষে তিনটি সেঞ্চুরি করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন এই উইকেটরক্ষক।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :