ঢাকা: বয়সটা ১৩ বছর ২৩৪ দিন। এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটে বৈভব সূর্যবংশীর নামটা বহুবার উচ্চারিত হয়েছে। এই বয়সেই খেলেছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ টেস্ট দলে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে করেছে ৫৮ বলে সেঞ্চুরি, যুব টেস্টের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় দ্রুততম এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এই বৈভব এবার জায়গা পেয়েছেন আইপিএল নিলামে চূড়ান্ত তালিকায়। নিলামে উঠতে যাওয়া ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত তালিকা গতকাল প্রকাশ করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
বৈভবের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। বয়স ১৩ হলেও এরই মধ্যে খেলেছে রঞ্জি ট্রফিতে। বিহারের হয়ে ১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল বৈভব। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো হয়নি। ৫ ম্যাচে এখন পর্যন্ত মোট রান করেছে ১০০। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৪১, সেটি এসেছে এই নভেম্বরেই।
এ ছাড়া বৈভব হেমান ট্রফি, কোচবিহার ট্রফিতেও খেলেছে। বিহারের আন্তজেলা টুর্নামেন্ট হেমান ট্রফিতে ৮ ম্যাচে ৮০০ রানের বেশি করেছিল বৈভব। এরপর ভিনু মানকড় ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচে করে ৪০০ রান।
বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রানধির বার্মা অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে বৈভবের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, এক বছরে বৈভব বিভিন্ন টুর্নামেন্টে মোট ৪৯টি সেঞ্চুরি করেছে, এমন দাবিও নাকি করেন কেউ কেউ। তবু মিচেল স্টার্কদের বল খেলছে ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলে, ভাবতে অন্য রকমই লাগে! অবশ্য আইপিএলে তো অনেক কিছুই সম্ভব!
বৈভবের নাম নিলামে ডাকা মানেই ওকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কিনবেই, সমীকরণটা এত সহজ নয়। আইপিএলের দলগুলো নানা দিক বিবেচনা করেই দলে ক্রিকেটারদের নেয়। তবে ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এখন কম মূল্যে বৈভবকে কিনে রাখতেও পারে যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলের সঙ্গে রেখে প্রস্তুত করে ভবিষ্যতে খেলাবে এমনও হতে পারে। বৈভব শেষ পর্যন্ত দল পাবেন কি না, সেটা জানা যাবে ২৪ ও ২৫ নভেম্বরে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :