ঢাকা: জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ২৫ রান। বোলিং ইফরান হোসেন, আগের তিন ওভারে যিনি দিয়েছেন মাত্র ১৯ রান।
শেষের শুরুটাও ভালো করলেন তিনি, প্রথম বলে রান নিতে পারলেন না সালমান হোসেন। চট্টগ্রামের জয় ছাড়া অন্য কিছু তখন ভাবনার অতীত। কিন্তু সালমান ভাবলেন সেই ভিন্ন কিছুই। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে অকল্পনীয় কিছুকেই বাস্তব রূপ দিলেন তিনি।
পরের চার বলে তার ব্যাট থেকে এলো তিনটি ছক্কা ও একটি চার। এর মধ্যে একটি আবার 'নো বল'। দুই বলে দরকার তখন মোটে দুই রান। কিন্তু নাটকীয়তা যেন শেষ হওয়ার নয়। ফ্রি হিটে রানই করতে পারলেন না সালমান। তবে শেষ বলের রোমাঞ্চে শেষ পর্যন্ত তিনিই নায়ক।
শেষ ডেলিভারিতে থার্ড ম্যান দিয়ে বল সীমানার দিকে যেতেই হুঙ্কার ছুড়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
দৌড়ে এসে তাকে জড়িয়ে ধরলেন অন্য প্রান্তে থাকা মইনুল ইসলাম। ডাগ আউট থেকে ছুটে আসা সতীর্থদের উল্লাসের মধ্যমণি সালমানই।
অথচ ম্যাচের প্রথম ভাগে আলোড়ন ছিল তামিম ইকবালের ৯১ রানের ইনিংস নিয়ে। কিন্তু তাকে আড়াল করে প্রায় হারতে থাকা ম্যাচে বরিশালকে একাই জেতালেন সালমান।
সালমানের বীরত্বের দিনে অন্য ম্যাচে সিলেটকে জিতিয়েছেন জিসান আলম। বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে আসর শুরু করা তরুণ ওপেনার এবার খেলেছেন ৭৩ রানের ইনিংস। সিলেট পেয়েছে নিজেদের প্রথম জয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ বলে ম্যাচ জিতে নেয় বরিশাল। চার ম্যাচে বরিশালের এটি দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়ও দুটি।
শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেওয়া সালমান ২ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কায় খেলেন ২৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। দলকে জিতিয়ে তিনিই ম্যাচ-সেরা।
সালমানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বিফলে যায় ম্যাচের প্রথমভাগে খেলা তামিম ইকবালের ৯১ রানের ইনিংস। চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ ওপেনার।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :