ঢাকা : সাড়ে তিনশ রান করেও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এই আক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই পুড়ছেন অধিনায়ক জস বাটলার। এই হারের পর বোলারদের সরাসরি না দুষলেও একটি জায়গায় উন্নতির তাগিদ দিয়েছেন তিনি। বাউন্ডারি বল কম দিতে বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
লাহোরে গত শনিবার বেন ডাকেটের রেকর্ড গড়া ১৬৫ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫১ রানের পুঁজি গড়ে ইংল্যান্ড। তখনো সেটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের কীর্তি। আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে এর আগে এত রান তাড়া করতে পারেনি কোনো দল। জশ ইংলিসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে সেটাই সম্ভব করে অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্টিভেন স্মিথের দল। বড় পুঁজি নিয়েও জিততে না পারায় ভীষণ হতাশ বাটলারের দল। এমন পরাজয়ের পরও অবশ্য নিজের বোলারদের কাঠগড়ায় তোলেননি বাটলার। উল্টো ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জেতানো ইংলিসের কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
বাটলার জানান, ‘আমি মোটেও ঘাটতি দেখছি না। আমরা যে দল নিয়ে নেমেছিলাম, সেটার ভারসাম্য আমাদের ভালো লেগেছে। আমার মনে হয়, রুট ও লিভিংস্টোন দারুণ বোলিং করেছে, দারুণ একটা চাপ তৈরি করেছে।’ তিনি আরো জানান, ‘আমি শুধু মনে করি, মাঝেমধ্যে প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতে হবে। আমার মনে হয়, জশ ইংলিস দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে।’
রান তাড়ায় নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে ভালোই চাপে রাখতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। ২৭ রানে তুলে নিয়েছিল তারা প্রতিপক্ষের ২ উইকেট। কিন্তু এই চাপ ধরে রাখতে পারেনি ইংলিশরা। আর এখানেই আক্ষেপ বাটলারের। তার মতে, অতিরিক্ত বাউন্ডারি হজম করেছেন তারা। পরিসংখ্যানও তাই বলছে। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা যেখানে ২৮ চার ও ৭টি ছক্কা দিয়েছেন, সেখানে ইংলিশ বোলাররা হজম করেছেন ৩৬ চার ও ৯টি ছক্কা। বাটলার এখানেই উন্নতির জায়গা দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ম্যাচে কিছু সময় ছিল যখন আমরা জুটিতে ভালো বোলিং করেছি, তাদের বাউন্ডারির জন্য ক্ষুধার্ত করে তুলেছি এবং এতে কিছু সুযোগ তৈরি হয়েছে। কয়েকবার আমি কেবল ওভারে বাউন্ডারি কমানোর উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। যখনই তারা চাপে পড়ে, সত্যিই ভালো শট খেলতে সেটা দূরে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, অধিনায়ক হিসেবে আমার ও এই বোলিং বিভাগের সব সময় মনোযোগ দেওয়া উচিত স্কোর বোর্ডের চাপ ধরে রাখার জন্য কীভাবে ওভারে বাড়তি বাউন্ডারিগুলো বন্ধ করা যায়।’
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :