দুই সিনিয়রকে দায় দিচ্ছেন না শান্ত

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
দুই সিনিয়রকে দায় দিচ্ছেন না শান্ত

ঢাকা : নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য শুধু মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে কাঠ গড়ায় তোলার কারণ দেখছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং বললেন সামগ্রিক ব্যর্থতার কথাই। দলে স্বয়ংক্রিয় পছন্দ কেউ নেই দাবি করে সৌম্য সরকারের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্তিত্বের লড়াইয়ের ম্যাচে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ২৩৬ রান তুলে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ৫ উইকেটে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলের রান এক পর্যায়ে ছিল ২ উইকেটে ৯৭। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে যান ছয় ওভারের মধ্যে। তিনজনই আউট হন মাইকেল ব্রেসওয়েলের অফ স্পিনে এবং তিনটি উইকেটই ছিল নিখাদ উপহার। কে কার চেয়ে বাজে শট খেলতে পারেন, এই প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন যেন তারা।

মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর শটই বেশি চোখে লেগেছে। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও তারা সবচেয়ে পুরোনো ক্রিকেটারদের দুজন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাছে প্রত্যাশা বেশি। ব্যর্থতার দায়টাও তাদের ওপর বেশি পড়ে।

শান্ত অবশ্যই ম্যাচের পর দল দিলেন গোটা ব্যাটিং গ্রুপকেই।

দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে দেখতে চাই না। আমার মনে হয়, পুরো দল হিসেবে ম্যাচটি আমরা ভালো খেলিনি। সিনিয়র ক্রিকেটার বলে তার কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবে, এরকম নয়। পুরো ব্যাটিং গ্রুপ আমরা ভালো করিনি।

প্রশ্ন উঠছে মুশফিকের একাদশে থাকা ও সৌম্য সরকারের বাদ পড়া নিয়েও। চোট কাটিয়ে ফিট হয়ে উঠেছেন মাহমুদউল্লাহ। আগের চার ইনিংসে ৯৮, ৫০*, ৬২ ও ৮৪* রানের ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানের একাদশে ঢোকা অবধারিতই ছিল। তাকে জায়গা দিতে বাদ দেওয়া হয় ওপেনার সৌম্যকে।

আগের ম্যাচে ভারতে বিপক্ষে শুন্য রানে বিদায় নিয়েছিলেন সৌম্য। তবে এর আগে নিজের সবশেষ ইনিংসেই ৭৩ রান করেছিলেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ওয়ানডেতে দেশের সর্বোচ্চ রানও ছিল তারই।

মুশফিক আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন প্রথম বলে। এই ম্যাচের আগে সবশষ ১৩ ইনিংসে তার ফিফটি মোটে একটি।

সিনিয়র বলেই দলে তাদের জায়গা নিশ্চিত কি না, এই প্রশ্ন ছুটে গেল শান্তর দিকে। অধিনায়ক তা উড়িয়ে দিলেন। তবে এটিও বললেন, মুশফিককে বাইরে রাখার চিন্তাভাবনাও ছিল না তাদের।

এই দলে কেউ অটো চয়েস নেই। সৌম্য টপ অর্ডারে ব্যাট করে এবং রিয়াদ ভাই লোয়ার-মিড অর্ডারে ব্যাট করে। সৌম্য যদি খেলত…কোথায়… আমাদের ব্যাটিং অর্ডার অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হতো। রিয়াদ ভাইয়ের খেলাটা প্রয়োজন ছিল, যদি সবশেষ চার-পাঁচটি ইনিংস দেখেন, রিয়াদ ভাই খুবই ভালো ব্যাটিং করেছেন। ওই জায়গায় রিয়াদ ভাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

মুশফিক ভাইয়ের সবশেষ পাঁচ ইনিংস নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত ছিলাম না। কারণ, মুশফিক ভাইয়ের কিপিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং বছরের পর বছর ধরে দেখেছি, দলের প্রতি তার কত অবদান। সবশেষ দুই-তিন ইনিংসে তার হয়নি, হতেই পারে এরকম। হয়তো পরের ম্যাচে উনি ঘুরে দাঁড়াবেন।

পরের ম্যাচটি পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার। দুই দলই বাদ পড়ে যাওয়ায় এটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ।

এমটিআই

Link copied!