মারা গিয়েছে প্রিয় পোষ্য, শোকে আত্মঘাতী উত্তরপ্রদেশের মহিলা

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
মারা গিয়েছে প্রিয় পোষ্য, শোকে আত্মঘাতী উত্তরপ্রদেশের মহিলা

ঢাকা: বিড়ালটিই ছিল মহিলার প্রাণভোমরা। তাঁর কাছে প্রাণাধিক প্রিয় ছিল সেই বিড়াল। দিন দুই আগেই মারা গিয়েছে সেই বিড়ালটি। কিন্তু প্রিয় পোষ্যের মৃত্যু মানতে পারছিলেন না ওই মহিলা। প্রিয় পোষ্য না থাকার শোকে নিজেকে মেরেই ফেললেন তিনি। সিলিং থেকে ঝুলে পড়েন সেই মহিলা। উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার হাসানপুর শহরের রাহরা রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলার দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পূজা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার  মারা গিয়েছে সেই বিড়ালটি। ওই বিড়ালটিকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন বছর ৩২-এর পূজা। তাই প্রিয় পোষ্যের মারা যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনি। বিড়ালটি মারা যাওয়ার পরেও সেটিকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। তাঁর আশা ছিল, বিড়ালটি আবার চোখ খুলে তাকাবে। কিন্তু বাস্তবটা যখন তিনি বুঝলেন তা আর সহ্য করতে পারলেন না। সিলিং থেকে ঝুলে পড়েন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয় বিড়ালকে হারিয়ে শোকে আত্মঘাতী হয়েছেন পূজা।

হাসানপুর শহরের রাহরা রোডের শিব মন্দিরের কাছের বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার হয়েছে পূজার ঝুলন্ত দেহ। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চার ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল পূজা। পোষ্য বিড়ালটিকে প্রাণাধিক ভালোবাসতেন তিনি। জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে দিল্লির এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পূজার। কিন্তু বিয়ের দুই বছরের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁর। তার পর থেকেই নিজে বাপের বাড়িতে, মা গিরিজা দেবীর সঙ্গে থাকতেন তিনি।

পূজার মা জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকেই একাকীত্ব গ্রাস করেছিল তাঁর মেয়েকে। এই জন্য তাঁকে একটি পোষ্য নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। পূজা প্রথমে তা আনতে অস্বীকার করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি বিড়াল নিয়ে আসেন পূজা। সেই থেকে বিড়ালটিই ছিল তাঁর সব কিছু।

গিরিজা দেবী জানিয়েছেন, বিড়ালটি মারা যাওয়ার পরে তাঁরা বিড়ালটিকে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। তা করতে রাজি ছিলেন না পূজা। তাঁর আশা ছিল প্রিয় বিড়াল আবার বেঁচে উঠবে। গিরিজা দেবী জানান, শনিবার বিকালে তিনতলায় নিজের ঘর বন্ধ করে দেন পূজা। রাত্রে তিনি গিয়ে দেখেন, সেই ঘরে সিলিং থেকে ঝুলছে তাঁর পূজার মৃতদেহ। পূজার দেহের পাশেই মেঝেতে ছিল সেই বিড়ালটি। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।

ইউআর

Link copied!