• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কট (ভিডিও)


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৮, ২০২১, ১১:৫৮ এএম
সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কট (ভিডিও)

ফাইল ছবি

ঢাকা : বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য ও দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করে গ্রেফতারের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আজকের সকাল ১১টার সংবাদ সম্মেলন বয়কটের করেছে সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সকাল ১১টার সংবাদ সম্মেলন বয়কটের করছে সাংবাদিকরা।

এর আগে দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার ও বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্য রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজকের (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সকাল ১১টার সংবাদ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচি কার্যনির্বাহী কমিটির আজকের জরুরি সভা থেকে ঘোষণা করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে বিএসআরএফ।

উল্লেখ্য, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রোজিনা ইসলাম সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রেখে তাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর রাতে শাহবাগ থানায় ‘অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে’ মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগে করা মামলার বাদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও আছে।

রোজিনা ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাকে সেখানে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রোজিনা ইসলাম ওই অফিস থেকে কোনো নথি সরানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার এই সহকর্মী ‘আক্রোশের শিকার’ হয়েছেন বলে তাদের সন্দেহ।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!