• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা তৈরি, শিগগিরই প্রজ্ঞাপন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০৪:৩৩ পিএম
ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা তৈরি, শিগগিরই প্রজ্ঞাপন

ঢাকা : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ওটিটি প্লাটফর্মের বিতর্কিত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এটি যাচাই বাছাই করে আমরা খুব শিগগিরই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করব।

তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি কিছু অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব ব্যক্তি অনলাইনে যে দেশ থেকে এ ধরনের অপপ্রচার চালায়, সে দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্লাটফর্ম একটি ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা। এর কোনো কনটেন্ট রিলিজ করতে হলে এখন কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। আমি সাম্প্রতিক ভারত সফরে সেখানকার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। তারা কিভাবে বিষয়টিকে দেখভাল করছেন জেনেছি।’

তিনি বলেন,‘তারা গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রজ্ঞাপণ আকারে একটি নীতিমালা জারি করেছেন। এর আওতায় সেই দেশ থেকে পরিচালিত ও বিদেশের সব প্লাটফর্মকে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। কোনোটি এর অন্যথা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় বা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরাও একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছি। সেটি আমরা সহসাই প্রজ্ঞাপণ আকারে প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করছি। ওটিটি এতো বিস্তৃত ও ব্যাপক এটিকে সেন্সর বোর্ডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা একটি বিরাট ও দুরূহ কাজ। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভারতে বা অন্যান্য দেশে যেভাবে করা হচ্ছে সেভাবেই নীতিমালার খসড়া করা হবে। এটিকে যাচাই বাছাইয়ের পর প্রজ্ঞাপণ আকারে প্রচার করা হবে। আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমন কোনো কনটেন্ট যাতে সেখানে না যায়। আমাদের সমাজকে বা মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে এমন কোনো কনটেন্ট যাতে সেখানে না যায়।’

মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষকে অবারিত সুযোগ করে দিয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনেক সময় অস্থিরতা তৈরি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দেশের বিরুদ্ধে, ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে অহেতুক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে। এই করোনার মধ্যে অনেক ধরনের গুজব রটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!