ঢাকা : ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এর আগে সাংবাদিক নূরুল কবীর জানান, কলম্বো থেকে আসা-যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে তাকে দুই দফায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তিনি ১৮ নভেম্বর এশিয়া মিডিয়া ফোরাম ২০২৪-এ যোগ দিতে কলম্বো যান এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে নূরুল কবীর লেখেন, ‘দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমাকে হয়রানি করছে।’
নূরুল কবীর তার পোস্টে অতীতের হয়রানির উদাহরণ টেনে বলেন, সঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশ ভ্রমণের কারণ নিয়ে জেরা করা হয়েছে। কখনো পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, আবার কখনো তার পাসপোর্টের পাতা স্ক্যান করে ছবি তোলা হয়েছে, যা তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এসব হয়রানি মূলত দেশ ছাড়ার সময় ঘটে। দেশে ফেরার সময় নয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়রানির দিন হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। এবার হয়রানি দ্বিগুণ হয়েছে— প্রস্থানকালে এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা।’
তিনি তার পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশপ্রেমিক হওয়া মানেই যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সন্দেহভাজন হওয়া। ফলে আমি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং তাদের সুপারভাইজ করা সরকারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’
নূরুল কবীরের এই অভিযোগের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই এটি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। তবে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কোনও সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, নূরুল কবীর তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তির প্রধান কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতা সততার শীর্ষ চ্যাম্পিয়ন।
এমটিআই