ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম প্রতারণার সব কৌশলই রপ্ত করেছেন। এতে ছাড় দেননি নিজের পরিবারকেও। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে শাহেদের স্ত্রীর মুখে উঠে আসে তার নানা অপকর্মের চিত্র। শাহেদের বিচারও দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া।
একই সঙ্গে তার বাড়ির মালিকের দাবি, বাসা ভাড়ার টাকা চাইতে গেলেও দেয়া হতো হুমকি। শাহেদের সহযোগীসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
এদিকে, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। প্রতারণাই যার মূল পেশা। রপ্ত করেছেন সব কৌশল। প্রায় ২ বছর ধরে শাহেদ পরিবারসহ থাকতেন ওল্ড ডিওএইচএসের ৯ নম্বর বাসায়। ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নিলেও অল্প কয়েকদিনেই বেরিয়ে আসে তার আসল রূপ। তার প্রতারণার কথা জানতে পেরে বেশ কয়েকবার তাকে নোটিশ দেয় বাসার মালিক।
আরও পড়ুন: পাওনা টাকা চাইতে গেলে এভাবেই পেটাত শাহেদ, নারী দিয়ে করত হেনস্তা
তিনি জানান, টাকা চাইতে গেলেই দেওয়া হতো হুমকি। টাকা সুটকেস নিয়ে ঘুরতেন তিনি। বাসাভাড়া আগেরজন দিত ৮০ হাজার টাকা। যাতে ভাড়া নেয় তাকে আমি ইচ্ছা করে ১ লাখ টাকা বাড়ি ভাড়া চেয়েছি তার কাছে।’
এ বিষয়ে শাহেদের স্ত্রী সাদিয়া জানান, শাহেদের প্রতারণার শুরু হয় ২০০৮ থেকে। পরিবারের লোকদের সাথেও প্রতারণা করতো সে। এটা তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এই প্রতারকের বিচারও চান তিনি।
শাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরো বলেন, 'কয়েকবার আমি তার কাছ থেকে চলেও গেছি। আমার পরিবারের কয়েকজনের সাথেও তার টাকা পয়সা নিয়ে গণ্ডগোল ছিলো। ওনার জন্য আমার পরিবারের অন্যরাও সমস্যায় আছে।'
এদিকে, শাহেদ যাতে বিদেশ যেতে না পারে সেজন্য ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শাহেদের প্রতিষ্ঠানের পিআরও ও তার ভায়রাকে আটক করেছে র্যাব।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ