ঢাকা : রেল মন্ত্রণালয়ের নকশা ত্রুটি থাকায় পদ্মাসেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চললেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে গত ৪ মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে পদ্মা সেতুর রেল লাইন প্রকল্পের একাংশের কাজ। রেলের পিলারে উচ্চতা ও প্রশস্ততা কম থাকায় সড়ক থেকে সেতুতে বড় গাড়ি উঠতে পারবে না, তাই মাওয়া প্রান্তে রেলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সেতু বিভাগ।
রেল মন্ত্রণালয় সংশোধিত একটি নকশা দিলেও সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে সেতু বিভাগ। দুই প্রান্তে এখন ৪টি পিলার ভেঙে ফেলতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেতু চালু হলে একই দিনে চলবে ট্রেন, এমন একটি পরিকল্পনা থেকে নেওয়া হয় পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প। ঋণ জটিলতায় কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৪ সাল পর্যন্ত। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে।
তবে এখন মাওয়া ও জাজিরা ২ প্রান্তেই রেলের ভায়াডাক্টের ৪টি পিলারে ধরা পড়েছে জটিলতা। রেলের নিচ দিয়ে বড় গাড়ি সেতুতে উঠতে আন্তর্জাতিক মানে পিলারের উচ্চতা থাকা প্রয়োজন ১৫ দশমিক ৫ মিটার, আর চওড়ায় ৫ দশমিক ৭ মিটার। আছে তার কম। ফলে বড় গাড়ি সড়ক থেকে সেতুতে উঠতে গেলে আটকে যাবে। বিষয়টি নজরে আসার পরই গত আগস্ট মাসে সেতুর দুই পাশে রেলের কাজ বন্ধ করে দিতে বলে সেতু কর্তৃপক্ষ।
সংশোধিত নকশায় উচ্চতা ঠিক রাখলেও চওড়ায় ১৩.৫ মিটার করার একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে আন্তর্জাতিক মানের না হওয়ায় সেটি প্রত্যাখান করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। বিকল্প না পাওয়া গেলে এ ৪টি পিলার ভেঙে ফেলার কথা বলছে রেল।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের যে বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন। তারা বিষয়টি দেখে সমাধান দেবে।
দেশের মেগা প্রকল্পে সেতু ও রেল বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দুঃখজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ৪ মাস ধরে এ জটিলতার সমাধান না হওয়ায় রেল প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদ দুটি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :