• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩০, ২০২০, ০৪:২৬ পিএম
করোনা মোকাবিলায় ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

সংগৃহীত

ঢাকা : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশ আমেরিকা-ইউরোপের চেয়েও এগিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস্ অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) অডিটোরিয়ামে 'কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ২০তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ইউরোপের অনেক দেশ বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আমেরিকা, ভারত পাকিস্তানের থেকে আমরা এগিয়ে রয়েছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছেন। আমাদের এ অর্জনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতিটি সেবা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক-নার্সসহ প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশংসার দাবিদার।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কোথাও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী) ছিল না। বাংলাদেশে পিপিইর অভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন পিপিইর অভাব নেই। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পিপিই রপ্তানি করছে।

মন্ত্রী বলেন, করোনার সময় সারাদেশে লকডাউন জারি থাকলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোনো লকডাউন ছিল না। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সারাক্ষণ কাজ করে গেছেন। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক কাজ করে গেছেন।

বাংলাদেশে ওষুধের কোনো অভাব হয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে ওষুধ পাওয়া গেছে। সব সময় ছিল, এখনও আছে। আমাদের ওষুধের অভাব নেই। করোনাকালে আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ওষুধ রপ্তানি করছি।

করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭০ শতাংশ বেড খালি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ৭৮টি হাসপাতাল রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!