Menu
ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষ চলাকালে রিলিফ কাজ করার জন্য গোপালগঞ্জ ফিরে আসেন। দেশে ফিরে দেখেন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। অধিকাংশ মানুষ না খেতে পেয়ে কঙ্কাল হতে শুরু করেছে। গোপালগঞ্জের মুসলমানরা ব্যবসা করতেন। এখানে যথেষ্ট ধান উৎপাদন হতো। খেয়েপরে মানুষ কোনোমতে চলতে পারত।
অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিলেন যদি একটা কনফারেন্স করা যায় আর সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও মুসলিম লীগ নেতাদের আনা যায়, তাহলে তারা চোখে দেখলে আশপাশের তিন জেলার লোক কিছু বেশি সাহায্য পাবে।
বঙ্গবন্ধু সহকর্মীদের নিয়ে বসলেন। আলোচনায় সবাই বললেন, এই অঞ্চলে পাকিস্তানের দাবির জন্য কোনো বড় কনফারেন্স হয়নি। তাই কনফারেন্স হলে তিন জেলায় জাগরণ সৃষ্টি হবে। এতে দুইটি লাভ হবে। মুসলিম লীগের শক্তিও বাড়বে, মানুষও সাহায্য পাবে।
সব এলাকা থেকে কিছুসংখ্যক কর্মীকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হলো সম্মেলনের নাম ‘দক্ষিণ বাংলা পাকিস্তান কনফারেন্স’ দেয়া হবে।
তিন জেলায় লোকদের দাওয়াত দেওয়া হবে। এজন্য সভা আয়োজন করা হলো আহ্বায়ক কমিটি গঠনের জন্য। বয়স্ক নেতাদের মধ্য থেকে একজনকে চেয়ারম্যান ও একজনকে সেক্রেটারি করা হবে। কিন্তু প্রধান যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। কারণ অনেক খরচ হবে।
দেশে দুর্ভিক্ষ, টাকাপয়সা তোলা যাবে না। শেষ পর্যন্ত সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুকেই অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান ও যশোর জেলার মৌলভি আফসারউদ্দিন মোল্লা নামের একজন বড় ব্যবসায়ীকে সম্পাদক করা হলো। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে সংগৃহীত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT