Menu
ঢাকা : ওয়াহিদুজ্জামান সাহেবসহ অনেকে ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও মুসলিম লীগকে নানাভাবে বাধা দিয়েছিলেন। আবার গোপালগঞ্জে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও জেলা সম্পাদক সালাম খান সাহেবও আপত্তি জানান।
কারণ এত বড় কনফারেন্স হবে তাকে বলা হয়নি, এমনকি তার সাথে পরামর্শও করা হয়নি। তিনিও খবর দিয়েছেন যাতে নেতারা না আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সব নেতাই ভালো কর্মী হিসেবে জানতেন। সবাই স্নেহও করতেন। শহীদ সাহেবও বলে দিয়েছেন সবাইকে কনফারেন্সে যোগ দিতে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুকে অপমান করলে, আবার একবার মত দিয়ে না গেলে কলকাতায় ছাত্রদের নিয়ে যে গোলমাল করবেন, সে ভয়ও ছিল অনেকের। অবশেষে সবাইকে নিয়ে গোপালগঞ্জ এলেন তিনি। নেতারা বিশাল সংবর্ধনা পেলেন। পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধ্বনিতে গোপালগঞ্জ শহর মুখরিত হয়ে উঠল।
নেতারাও জনসমাগম দেখে খুবই আনন্দিত হলেন। সভা হবে কিন্তু প্যান্ডেল আগের রাতে ঝড়ে ভেঙে যায়। সেই ভাঙা প্যান্ডেলেই সভা হলো। রাতেই সবাই বিদায় নিলেন। কিন্তু বিপদে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। কারণ বাদামগুলো ঝড়ে ছিড়ে গেছে। এত টাকা কোথায় পাবেন তিনি। এখন তো কেউ এক টাকাও দেবে না। নেতারাও কেউ এ বিষয়ে জানতে চাননি।
তবে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে স্নেহ করতেন, অনেকে অর্থশালীও ছিলেন। তাই অনেকে ছেঁড়া বাদাম নিয়ে চলে গেলেন। কিন্তু কিছু লোক উসকানি পেয়ে বাদাম নিতে আপত্তি করল। তারা টাকা চায়। ছেঁড়া বাদাম নেবেন না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে সংগৃহীত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT