• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

এক সপ্তাহের মধ্যে গ্লোব বায়োটেকের টিকার নৈতিক অনুমোদন


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৫, ২০২১, ০১:৫৪ পিএম
এক সপ্তাহের মধ্যে গ্লোব বায়োটেকের টিকার নৈতিক অনুমোদন

ফাইল ছবি

ঢাকা: সপ্তাহের মধ্যেই নৈতিক অনুমোদন পাচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন (টিকা)।

রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত দুই মাসে দেশে টিকার কোনো চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না। চুক্তির পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ পর্যন্ত দুটি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা। ক্রয় ও উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ভারত থেকে পেয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজ টিকা যে সংখ্যক মানুষ নিয়েছেন, তাতে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে প্রায় ১০ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। এতে প্রথম ডোজ নিতে পারলেও ১০ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের ৫ নভেম্বর যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা রপ্তানি করবে এবং সে অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। অথচ টিকা দেবে বলে অগ্রিম দেড় কোটি ডোজ টিকার মূল্য বাবদ ৫১০ কোটি টাকা আগেই নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।

একদিকে টিকার ঘাটতি, অন্যদিকে করোনার সংক্রমণের বিস্তার, সব মিলিয়ে বিকল্প পথগুলোর কথাই চিন্তা করছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের করোনার টিকা উদ্ভাবনের একমাত্র দাবিদার গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিনের নৈতিক অনুমোদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি অপারেশন্সের ম্যানেজার ও ইনচার্জ এবং টিকা আবিষ্কার গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, যে প্রযুক্তিতে আমাদের টিকা তৈরি করেছি, মডার্না ও ফাইজারের টিকার প্রযুক্তি প্রায় একই। এই দুইটা ভ্যাকসিন জরুরি অনুমোদন নিয়ে তাদের দেশের করোনা সংক্রমণ তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। তারা যে নকশা করেছিল, সেটা করোনার প্রথম দিকে। এগুলোকে বলা যায় প্রথম জেনারেশনের ভ্যাকসিন। আমাদের যে নকশাটা সেটা সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যাকসিন। কারণ আমরা এটা গত বছর মার্চ থেকে শুরু করেছি।

গত বছর আমরা দেখেছি, ভাইরাসের যে মিউটেশনের কারণে মানুষ বেশি সংক্রমিত হতো, সেটা হচ্ছে ডি৬১৪জি। আমরা কিন্তু এটাকেও বিবেচনায় নিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের ইঞ্জিনিয়ারিংটা এমনভাবে করেছি যে, যেকোনো ধরনের মিউটেশন যদি হয় সেক্ষেত্রেও আমাদের ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা তো এখন পর্যন্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটাই শুরু করতে পারি নাই। যার কারণে আমরা এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবো না যে, এটি বর্তমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করবে কি, করবে না।

দেশে এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৬ জন করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৩০ এবং নারী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৬ জন। এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০ জন। এরমধ্যে ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৬ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ২ হাজার ৫৭৪।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!