• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
এক দিনে রেকর্ড ২৫৮ জনের মৃত্যু

তবুও বেপরোয়া মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৭, ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম
তবুও বেপরোয়া মানুষ

ঢাকা : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত বলে শনাক্তও হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক। এই সময়ে দেশে করোনায় ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে মৃত্যুর ঘটনা এটিই সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ১৯ জুলাই দেশে করোনায় ২৩১ জনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৭৯৯ জনে।

এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯২৫ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২ জনে।

একদিনে এটিই দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু এবং শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে সোমবার ২৪৭, রোববার ২২৮, শনিবার ১৯৫, শুক্রবার ১৬৬, বৃহস্পতিবার ১৮৭, বুধবার ১৭৩ ও মঙ্গলবার ২০০ জনের মৃত্যু হয়। গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। এটিও এক দিনে দেশে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জনে। এর আগে গত ১৩ জুলাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪৩৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন।

 ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ১৫৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ হাজার ৪৭৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৩৮ জন পুরুষ এবং ১২০ জন নারী। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৪৭৮ জন এবং নারী ৬ হাজার ৩০১ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ২, ৮১ থেকে ৯০ বছরের ১৭, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ৫০, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৭৮, ৫১ থেকে ৫০ বছরের ৫৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৬, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৮ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৮৪ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৬১, রাজশাহীতে ২১, খুলনায় ৫০, বরিশালে ১৩, সিলেটে ৭, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ১১ জন মারা গেছেন।

এদের মধ্যে ১৫ জন বাসায় মারা গেছেন। ২ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। আর সরকারি হাসপাতালে ২০২ ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩৯ জন মারা গেছেন। 

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

তবুও বেপরোয়া মানুষ : করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত যতই বাড়ুক, মানুষের বেপরোয়া চলাচল কিছুইতে দমানো যাচ্ছে না। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর সব রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়েছে। ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ সব প্রবেশপথে। নগরীর অলিগলিতে অবাধে ঘোরাফেরা করছে মানুষ। চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের কঠোর নজরদারির পরেও লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা দিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় প্রবেশ করছে ব্যক্তিগত গাড়ি। সব গাড়িতেই যাত্রী রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যাত্রীবাহী বাস নিয়েও ঢাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ যাত্রীদের নামিয়ে বাস ঘুরিয়ে দিয়েছে। বিধিনিষেধে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও এই বাস মহাসড়ক দিয়ে কিভাবে ঢাকা পর্যন্ত এসে পড়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে।

রাজধানীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশপত্র ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আজ সকাল থেকে বেরিয়েছে। পুলিশের কড়াকড়ির মধ্যেও নতুন ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে। যাত্রাবাড়ী এলাকার সব রাস্তায় সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় রয়েছে। 

কেউ ঢাকার বাইরে থেকে ফিরছেন, আবার কেউ যাচ্ছেন অফিসে। যাত্রাবাড়ী মোড়ে সকাল থেকে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। অফিসগামী লোকজনসহ বিভিন্ন জরুরী কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। রিক্সার পাশাপাশি রিকশাভ্যানে ৬/৭ জন গাদাগাদি করে বসে অফিসের উদ্দেশে যাত্রা করে। কোন কোন চেকপোষ্টে পুলিশ ভ্যান থেকে এসব লোকজনকে নামিয়ে দেয়। যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে কোন ধরনের সচেতনতা নেই।

রাজধানীর গাবতলী এলাকার প্রবেশপথে আজ সকাল থেকে ঢাকায় ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি সহ অন্যান্য যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এখানে বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারায় জরিমানার পরেও লোকজনের বাইরে বের হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। মিজান নামের এক ব্যক্তি পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে মোটরসাইকেলে পনেরশো টাকা ভাড়ায় এসে গাবতলীতে নেমেছেন। এক মোটরসাইকেলের দুই জন যাত্রী ও বহন করা হচ্ছে এই পথে। এক্ষেত্রে মাথাপিছু ৮০০ টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এছাড়া প্রাইভেটকারে আসলে মাথাপিছু ছয় থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে মিজান জানান।

এদিকে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরী, সিটি কলেজ মোড়, কলাবাগান, মানিক মিয়া এভিনিউ সড়কে পুলিশের চেকপোস্টে কড়াকড়ি আরোপের পরেও চলাচল থামাতে পারছে না। ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ এলাকায় সড়কগুলোতেও যানবাহন এবং মানুষের উপস্থিতি গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বেশি রয়েছে।

এদিকে আজ সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জে শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলা বাজার থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে পৌঁছায় প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের ভিড় বেড়েছে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। গণপরিবহন চলাচল না করলেও শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট ছোট যানবাহনে এবং ভেঙে ভেঙে লোকজন ঢাকায় চলে আসছে। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকাতেও ঢাকামুখী মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর সংখ্যক মোটরসাইকেল পারাপার হয়ে ঢাকায় ফিরছে।

একের পর এক করোনা রোগী আসছেন ঢামেকে : দুপুর ১২টা ৪০, একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে থামল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর থেকে এসেছেন মো. ফারুক হোসেন (৬৭)। ১০ দিন আগে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার ৩ দিন পর করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। পরে তাকে নোয়াখালীর মাইজদীর এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে অক্সিজেন সংকট থাকায় নোয়াখালীর আরেক হাসপাতালে নেয়া হয় ফারুক হোসেনকে। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আনা হয় ঢামেকে। ফারুক হোসেনের মতো অনেক রোগীই এখানে আসছেন কিছুক্ষণ পর পর। সুস্থ হয়ে রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার সংখ্যা কম। সে তুলনায় আগত রোগীর সংখ্যা বেশি। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সেখানে দেখা যায়, শয্যার অপেক্ষায় রয়েছেন রোগীরা। করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। মৃত রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হচ্ছে বাতাস। অনেকে ইউনিটের ভেতরে রোগী রেখে বাইরে বিষণ্ণ মনে ঘোরাঘুরি করছেন। আর চিকিৎসক-নার্সদের ব্যস্ততাও বেশি। 

করোনা ইউনিটের সামনে কথা হয় লক্ষ্মীপুর থেকে আসা ফারুক হোসেনের ছেলে ফরহাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দশদিন আগে শ্বাসকষ্ট শুরু হলেও সাতদিন আগে বাবার করোনা পজিটিভ আসে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালীর মাইজদীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। অক্সিজেন সংকট হওয়ায় পরে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই।

অবস্থা খারাপ হলে গত রাতে বাবাকে রাজধানীর গ্রিন রোড একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি  করি। তারা একদিনে ৩৫ হাজার টাকা বিল করে। আমরা গরিব মানুষ। কীভাবে এত টাকা দিয়ে আইসিইউতে রাখব? পরে আজ দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে নিয়ে আসি। বাবার অবস্থা ভাল নয়। কখন কী হয়ে যায়, বলা যায় না। বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন ফরহাদ। 

করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৮ জুলাই ঢামেকের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন নরসিংদীর রায়পুরার বাসিন্দা মনসুর আলী মৃধা (৩৬)। দুপুর একটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কথা হয় মৃতের শ্বশুর রওশন আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালেও অবস্থা ভালো ছিল। সকালে আমাদের সঙ্গে তিনি নাস্তাও খেয়েছেন। দুপুরে একটি ইনজেকশন দেয়ার পর দুই মিনিটে নিস্তেজ হয়ে পড়েন মনসুর। পরে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিউটিরত আনসার সদস্যরা জানান, আমরা সকাল আটটা থেকে ডিউটি শুরু করেছি। বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রোগীর চাপ অনেক। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে এখানে।

হাসপাতালের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, বিকেল পর্যন্ত ১২ জন রোগী মারা গেছেন। তারা সবাই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। দায়িত্বরত ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজউদ্দিন বলেন, ভবন-২-তে ছয়শ শয্যা আছে। একটিও ফাঁকা নেই। রোগী চলে গেলে নতুন রোগী ভর্তি নেয়া হয়। রোগীর অনেক চাপ আমাদের এখানে।

জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এখানে করোনা রোগীর অনেক চাপ। শয্যা ফাঁকা নেই। বর্তমানে সব মিলিয়ে ৭৫২ জন রোগী আছেন। অতিরিক্ত ১৭ জনকে ভর্তি নেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, কোভিড রোগীর অক্সিজেন লাগে। চাইলেই রোগী ভর্তি করে মেঝেতে রাখতে পারি না। অক্সিজেনের লাইন আছে, এমন ১৭টি শয্যায় রোগী ভর্তি নেয়া হয়েছে। এখান থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া রোগীর সংখ্যা একেবারেই কম।

কঠোর বিধি-নিষেধের পঞ্চম দিনে আটক ৫৫৫ : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের পঞ্চম দিনে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া কিংবা নির্দেশনা অমান্য করায় ৫৫৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। 

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৩৬ জনকে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর ডিএমপির বিভিন্ন থানা এলাকায় একযোগে পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক ও জরিমানা করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, এ দফায় কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ডিএমপির ৮টি বিভাগে বিভিন্ন থানা পুলিশ একযোগে অভিযান চালায়। বিধিনিষেধ অমান্য করে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে সারাদিনে ৫৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৩৬ জনকে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৭৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে, পঞ্চমদিন বিধি-নিষেধ অমান্য করায় ৪৯৭ টি গাড়িকে ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এ দফায় গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!