• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই করা যাবে সংসদ নির্বাচন, আইন পাস


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০২:২৫ পিএম
সীমানা নির্ধারণ ছাড়াই করা যাবে সংসদ নির্বাচন, আইন পাস

ঢাকা : নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনের অধীনে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে।

দৈব-দুর্বিপাকে কোনো এলাকার সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ করতে না গেলেও বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন করা যাবে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি উত্থাপন করেন।

সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১ নামে বিলটি আইনমন্ত্রী পাসের প্রস্তাব করলে তা কন্ঠভোটে পাস হয়।

এই আইন কার্যকর হলে ১৯৭৬ সালের দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স রহিত হবে। পাস হওয়া আইনটিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩ জুন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে কমিটিতে পাঠানো হয়। আইনে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা বিদ্যামান আইনে নেই। এছাড়াও এটি আগে ইংরেজিতে ছিল। এখন আইনটি বাংলায় করা হয়েছে।

নতুন আইনের বিদ্যমান আইনের ৮ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা আছে, দৈব-দুর্বিপাকে বা অন্য কোনো কারণে আঞ্চলিক সীমানা নির্ধারণ করা না গেলে বিদ্যমান সীমানার আলোকে নির্বাচন আয়োজন হবে।

সংসদের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং বাংলায় আইন করতেই মূলত বিলটি আনা হয়েছে। সামরিক সরকারের আমলে জারি হওয়া দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্সের সংশোধন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলো। সেগুলো আমলে নেয়া হয়নি।

বিদ্যমান আইনের আটটি ধারার স্থলে প্রস্তাবিত আইনে ৯টি ধারার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন ধারাটিতে নির্বাচন কমিশনকে বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, যা বিদ্যামান আইনে নেই। বিলে আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংখ্যক সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে পুরো দেশকে উক্ত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনি এলাকায় ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভৌগলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং আদমশুমারির ভিত্তিতে যতদূর সম্ভব বাস্তবভিত্তিক বণ্টনের কথা বলা হয়েছে।

বিলের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ইসির সীমানা নির্ধারণের বিষয় নিয়ে দেশের কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলা যাবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!