• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

সরকারি চাকরিজীবীদের জিপিএফ-সিপিএফ মুনাফা নির্ধারণ


নিজস্ব প্রতিনিধি অক্টোবর ২৩, ২০২১, ১১:৪৮ এএম
সরকারি চাকরিজীবীদের জিপিএফ-সিপিএফ মুনাফা নির্ধারণ

ফাইল ছবি

ঢাকা : সরকারি চাকরিজীবীরা ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) জমা টাকায় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদ বা মুনাফা পাবেন ১৩ শতাংশ হারে। তবে ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় টাকার ওপর মুনাফা ১২ শতাংশ ও এর উপরে অর্থের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে ১১ শতাংশ হারে। 

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) জিপিএফ এবং সিপিএফের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন : পরিবারের অভাব অনটনে হতাশ সরকারি চাকরিজীবীর আত্মহত্যা 

তবে বাজারে প্রচলিত যত ধরনের সুদ রয়েছে, তার মধ্যে সর্বোচ্চ হারে পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। যেমন কোনো ব্যক্তি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) রাখলে বর্তমানে ৬ থেকে ৭ শতাংশ সুদ পান। আর সঞ্চয়পত্র কিনলে সরকার ৯ থেকে ১১ শতাংশ সুদ দেয়। কিন্তু সরকারি কর্মচারীরা সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদ পাবেন ১৩ শতাংশ। ছয় বছর ধরেই তহবিল দুটিতে তারা এই হারে সুদ পাচ্ছেন। 

বৃহস্পতিবার এটি পুনর্নির্ধারণ করে মুনাফার হার তিনস্তর করা হয়েছে। অর্থাৎ বেশি অঙ্কের টাকা সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ হার কমানো হয়েছে। এর আগে সরকার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়ে দেয়। সেখানে যে সুদ হার নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশি। দুই বছর আগে ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সম্প্রতি সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও কিছুটা কমিয়েছে। এর আগে ২০১৫ ও ২০১১ সালে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হয়েছিল। তবে জিপিএফ ও সিপিএফের সুদের হার বহাল আছে একই জায়গায়। 

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রতিবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এক বছরের জন্য জিপিএফ ও সিপিএফের সুদহার নির্ধারণ করে থাকে। অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর পরপরই জিপিএফ ও সিপিএফের সুদের হারও ১৩ শতাংশ থেকে কিছুটা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!