ঢাকা : করোনাভাইরাসে অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনে দেশে আরও ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিএসএআইডি)-তে এই তথ্য আপডেট করা হয়েছে। নতুন ৭ জনকে নিয়ে বাংলাদেশে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬২ জন।
জিএসএআইডির তথ্য বলছে, গত চার সপ্তাহে ৫৪টি নমুনা পরীক্ষায় জিনোম সিকোয়েন্সে দেখা গেছে বাংলাদেশে ওমিক্রন আক্রান্তের হার ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৫ জন।
এর আগে দেশে গত ১১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে ফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। এরপর
২৭ ডিসেম্বর একজন, ২৮ ডিসেম্বর চারজন, ৩১ ডিসেম্বর তিনজন, ৬ জানুয়ারি ১০ জন, ৭ জানুয়ারি একজন, ১০ জানুয়ারি নয় জন এবং ১২ জানুয়ারি তিনজনের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের তথ্য আসে জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে।
করোনাভাইরাসের এ নতুন ধরনে ঢাকার বাসাবো এলাকায় প্রথম শনাক্তের খবর আসে। পরে বনানী ও মহাখালীতে রোগী পাওয়া যায়। ঢাকার বাইরে যশোরে ওমিক্রন শনাক্তের পর ঢাকার চাঁনখারপুল ও উত্তরায় মিলেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি নয় এমন ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশে করোনা রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশই নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার ৯৬টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। পরবর্তী মাসে এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতকহারে বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বাড়ছে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে হালকাভাবে না নিতে পরামর্শ দিয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :