ঢাকা : দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার (৭ মে) ভোর পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে।
শুক্রবার রাত থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রীজ পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে গেছে যানজট। পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় ঘাট এলাকায় আটকে পড়েছে সহস্রাধিক যানবাহন।
ফরিদপুরের বাসিন্দা মোটরসাইকেল চালক স্বপন আহমেদ বলেন, ঘাটের কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। একবার ওই ঘাটে ফেরি ভিড়ে তো আমরা ওই ঘাটে ছুটি, আবার এ ঘাটে ফেরি আসলে এ ঘাটে ছুটি। যারা ভেঙ্গে ভেঙ্গে এসেছে তারাও ব্যাগ কাপড়সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ফেরির জন্য এ ঘাট ও ঘাট ছোটাছুটি শুরু করেছে।
খুলনা থেকে আসা যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ফেরি ঘাটে ভিড়তেই সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও মোটরসাইকেলেই ফেরি পরিপূর্ণ হয়ে আছে। সেখানে অন্য গাড়ি পার করার সুযোগ নেই। মানুষের ভিড়ে পা ফেলারও জায়গাটুকু নেই।
লঞ্চ ঘাটেও একই চিত্র। এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০ টি লঞ্চের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১২৫ থেকে ১৭৫ জন; কিন্তু নেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি।
যদিও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত, রোভার স্কাউটস কাজ করছে। কিন্তু যাত্রীরা কেউ নির্দেশনা মানতে নারাজ। লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে তারা হুড়োহুড়ি করে উঠে যাচ্ছেন।
শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে অচলাবস্থার কারণে ওই নৌরুটের অধিকাংশ যানবাহন এই নৌরুট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১ টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহীবাস অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় সিরিয়াল হলেও খুব বেশি সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না। রুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় কম সময়ের মধ্যেই যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো পারাপার হতে পারছে।
এদিকে পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকাফেরত যাত্রীরা পড়েছেন আরেক দুর্ভোগে। তারা বলছেন, ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :