• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় নিয়ে ইসিতে ইউপি প্রার্থীরা


নিজস্ব প্রতিনিধি মে ৩১, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম
বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় নিয়ে ইসিতে ইউপি প্রার্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : হাতিয়া উপজেলার ১নং হরনী ও ২নং চানন্দি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রার্থীরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে বিষের বোতল ও কাফনের কাপড় নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৩১ মে) বেলা ১১টার দিকে ইসির সামনে এই অবস্থান নেন।

এর আগে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

এতে সই করেন হরণী ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুসফিকুর রহমান, চানন্দি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম শামীম ও সদস্য প্রার্থী কামরুল হাসান তারেক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আমরা ১নং হরনী ও ২নং চানন্দি ইউপির চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আমাদের নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানে জটিলতা নিরসনে আপনার পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। মহোদয়, এতদ্বাঞ্চলের সাধারণ জনগণ ভোট প্রয়োগের ব্যাপারে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছে। ইউনিয়ন দুটির পাশে মেঘনা নদী, রামগতি ও সুবর্ণচর উপজেলার সীমানা থাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। তাই এ দুই ইউপির প্রত্যেকটি কেন্দ্রে প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করা আবশ্যক।  সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে হাতিয়া উপজেলা বর্হিভূত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং প্রশাসনিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল নিয়োগ করা আবশ্যক। অন্যথায় নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রচারণার সময় পুলিশের উপস্থিতিতে প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, আমাদের মোটরসাইকেল-মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের (এমপি) স্বামী মোহাম্মদ আলী সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রার্থীদের ওপর হামলা চালান এবং প্রচারণা বন্ধ করে দেন। বর্তমানে সব প্রার্থীর কাজ ও প্রচারণা বন্ধ রয়েছে। ইতোপূর্বে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডে ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ার কারণে ভোটাররা আতঙ্কিত। তাই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

১নং হরনী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সালাহউদ্দিন বলেন, এখানে এমপির স্বামীর সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া কাউকে নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা ভোটারদের বলছেন- ইভিএমে ভোট হলেও তোমরা শুধু ফিঙ্গার দিবা। আর আমাদের লোকেরা ভোট দিয়ে দেবে। তোমরা ভোট দিতে পারবা না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে ইসির কাছে সেই দাবি জানাই।

অবস্থান কর্মসূচিতে দুইজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৭ জন সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ও ৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। আগামী ১৫ জুন ওই দুটি ইউপিতে ভোট হবে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!