ঢাকা : ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে জাপান সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেন তিনি। দুটি নদীর ওপরই সেতু নির্মাণে সম্মত হয় জাপান সরকার।
পদ্মা একটি শক্তিশালী নদী। যার প্রবল স্রোত। ফলে পদ্মা নদী জরিপ শুরু করে জাপান। আর প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে রূপসা নদীতে নির্মাণ কাজ শুরু করে তারা।
২০০১ সালে প্রমত্তা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষা প্রতিবেদন বাংলাদেশের কাছে জমা দেয় জাপান। জাপানি জরিপে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
জরিপের ভিত্তিতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা।
কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মাওয়া পয়েন্টে নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরে মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর জন্য ফের জরিপ করার জন্য জাপান সরকারকে পরামর্শ দেয় জোটটি।
দ্বিতীয়বার জরিপ করার পর মাওয়া পয়েন্টকে পদ্মা সেতু নির্মাণের স্থান হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয় জাপান। ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
দায়িত্ব গ্রহণের ২২তম দিনে নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক পরামর্শদাতা সংস্থা মনসেল আইকমকে পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ নকশা প্রস্তুত করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
সেতু প্রকল্পে শুরুতে রেলের সুবিধা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়ের সুবিধা রেখে সেতুর চূড়ান্ত নকশা প্রণয়ন করা হয়। ডিজাইনটি ২০১০ সালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :