• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৫, ২০২২, ১১:১৮ এএম
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন ও মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া

মুন্সিগঞ্জ : সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশ শুরু হয়। সুধী সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।

সৈয়দ আবুল হোসেন ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বেই প্রথম পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল এবং প্রথম টেন্ডারটি আহ্বান করা হয়েছিল। এর পরপরই বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে এবং দুর্নীতির সন্দেহের তীর ছোড়া হয় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দিকে। এছাড়াও সেই সময়ের সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর এসবের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। 

এরপর পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক রাজি হয় বিভিন্ন শর্ত দিয়ে। এ শর্তের মধ্যে একটি ছিল যে সৈয়দ আবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ যারা সন্দেহভাজন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে সরিয়ে দিতে হবে। দুর্নীতির মামলা করতে হবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব দেয় এই বিষয়টি তদন্তের জন্য। সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়ান। গ্রেপ্তার হন তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

কিন্তু সৈয়দ আবুল হোসেনের মন্ত্রীত্ব যাওয়ার পরও পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে ফিরে আসেনি বিশ্বব্যাংক। বরং তারা অজুহাত দেখায় যে, দুর্নীতি দমন কমিশন যথেষ্ট স্বচ্ছতার সাথে তদন্ত করছে না। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর করার ঘোষণা দেন। যে পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। 

পদ্মা সেতুর সময় যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক কাল্পনিক, বানোয়াট অভিযোগ এনেছিল, তাদের সবাইকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করেছেন। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া চাকরিই শুধু ফেরত পাননি, তিনি এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এখন তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে জার্মানিতে রয়েছেন। অন্যান্য যারা সেই সময় বিশ্বব্যাংকের কারণে নিগৃহীত হয়েছিল, তাদের সবাইকেই প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!