ঢাকা : মাওয়ায় পদ্মার তীরে উন্মোচিত হল ফলক, বাতাসে উড়ল রঙিন আবীর, বর্ণিল উৎসবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দশক আগে তিনিই দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলার মানুষের এ স্বপ্নের সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
সকালে হেলিকপ্টারে করে মাওয়ায় পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেন, “আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যার অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পবির্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।”
সুধী সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্মারক ব্যাংক নোট, স্যুভেনির শিট, সিলমোহর ও উদ্বোধন খামের মোড়ক উন্মোচন করেন।
তারপর প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে গাড়ী নিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে তিনি উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে তাকে সেলফিবন্দি হতেও দেখা যায়।
পদ্মায় নতুন স্বপ্নের উন্মোচন, ‘নতুন ইতিহাস’ লেখার প্রত্যয় প্রধানমন্ত্রীর : প্রমত্তা পদ্মার বুকে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সূচনায় নতুন স্বপ্নের উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কবির ভাষায় তিনি বলেছেন, “যতবারই হত্যা করো, জন্মাবো আবার; দারুণ সূর্য হবো, লিখবো নতুন ইতিহাস "
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতিক্ষা আর রক্ত ধারায়। কিন্তু বাঙালি আবার সদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।”
উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “আসুন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের এই ঐতিহাসিক দিনে যে যাঁর অবস্থান থেকে দেশ এবং দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিই, এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-কনক্রিটের একটি অবকাঠামো নয়, এ সেতু আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলোদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িত আছে আমাদের আবেগ, সৃজনশীলতা, সাহসিকতা, সহনশীলতা এবং আমাদের প্রত্যয়, জেদ। যে জেদের কারণে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণে সক্ষম হয়েছি।”
উৎসবের এই মুহূর্তে দেশের মানুষকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সমর্থন আর সাহসেই তিনি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কঠিন কাজটি সম্ভব করতে পেরেছেন।
সেতু নির্মাণ কাজের সাথে যারা জড়িত ছিলেন, যারা এ প্রকল্পের জন্য বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে দিয়েছেন, সবার প্রতি তিনি জানান কৃতজ্ঞতা।
প্রধামন্ত্রী বলেন, “আপনারা সবাই জানেন, এ সেতু নির্মাণ করতে যখন আমরা যাই, অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়, মিথ্যা অপবাদ, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে একেকটি মানুষ, একেকটি পরিবারকে যে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে, আমার ছোট বোন শেখ রেহানা, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আমার মেয়ে সায়মা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আমার অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা, পদ্মাসেতু নির্মাণে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলাম ড. মসিউর রহমানকে, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া… যারা এর সাথে জড়িত ছিল, তাদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়, তাদের পরিবারসহ যে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে, আমি তাদের প্রতি সহমর্মিমতা জানাই।”
“শত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও সেতু নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, সকল প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি পরামর্শক, ঠিকাদার, প্রযুক্তবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রিতি কৃতজ্ঞতা জানাই। “
নিজ হাতে টোল দিয়ে সেতুতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী : নিজ হাতে টোল পরিশোধ করে পদ্মা সেতুতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করেন তিনি।
এর আগে, শনিবার সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বক্তব্য দেন।
সমাবেশ মঞ্চে শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
স্মারক ডাক টিকিট, স্মারক নোট উন্মোচন : পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট, স্মারক নোট, স্যুভেনির শিট, সিলমোহর ও উদ্বোধন খামের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৫ জুন) মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে সুধী সমাবেশে সরকার প্রধান এসব স্মারক অবমুক্ত করেন।
ওই সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্মারক ডাক টিকিট তুলে দেন। এর কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির ১০০ টাকার স্মারক নোট প্রধামন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এর পর চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর একটি রেপ্লিকা নিয়ে আসা হয়। এসব অনুষ্ঠানিকতা শেষে পদ্মা সেতু নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গ্রুপ ছবি তোলেন।
সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার অতিথি সকালে মাওয়া প্রান্তের সেতু সার্ভিস এরিয়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সুধী সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে বক্তব্য দিয়ে স্মারক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন। পরে সেতুর ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি।
কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর যারা বিরোধীতা করেছে, তাদের কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। আশা করি, এরপর থেকে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব ব্যাংকের মিথ্যা দুর্নীতির অপবাদ দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স হওয়ার কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়তে বলা ড. মুহাম্মদ ইউনুস অর্থায়ন বন্ধ করার সুপারিশ করল। পরে কানাডার আদালতে প্রমাণ হলো, কোনো দুর্নীতি হয়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার কন্যা হিসেবে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার দায়িত্ব নিয়েছি। যখন সব প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল, আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এরপর দেশবাসীর অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছিলাম। মানুষের শক্তি বড় শক্তি, সেই শক্তি নিয়ে এই সেতুর কাজ শুরু করি। অনেকের ধারণা ছিল, নিজস্ব অর্থায়নে কীভাবে করবো? জাতির পিতা আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে শিখিয়েছিলেন। সেই শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।
‘সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, জাতির পিতার স্বপ্নের আত্মমর্যাদাশীল, আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ.. এদেশের জনগণই হচ্ছে আমার সাহসের ঠিকানা। জনগণকে আমি স্যালুট জানাই।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে এসে উচ্ছসিত তারা, প্রশংসা শেখ হাসিনার : দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত থাকতে পেরে উচ্ছসিত সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা, মন্ত্রী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এ সেতু নির্মাণে সাহস দেখানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে অনেক বিতর্ক আর সমালোচনার ঢেউ পেরিয়ে নির্মাণ করা দেশের বৃহত্তম এ সেতুর পাদদেশে আয়োজন করা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তারা মন্তব্য করেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে এ অনুষ্ঠান স্থলে সাড়ে তিন হাজার অতিথির মধ্যে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “আমার সৌভাগ্য যেদিন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, একমাত্র বাঙ্গালী হিসেবে আমি নিয়াজীর (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধিনায়ক) সামনে গিয়েছিলাম, আজকে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনে আসতে পেরেছি এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় বাস্তব রূপ নেওয়া পদ্মা সেতু বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পদ্মা সেতু একটি জাতীয় সম্পদ এবং এটা কারও ব্যক্তির নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার দৃঢ়তায় এটা হয়েছে। বিশ্বের আদালতেও আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। দেশে আমরা যে একটা কিছু করতে পারি, এতে মানুষের মনোবল বৃদ্ধি পাবে।”
“এখন নেত্রী শেখ হাসিনার উচিত হবে- সার্বিকভাবে মানুষের সহযোগীতা কামনা করা,” বলেন তিনি।
যারা পদ্মা সেতু নির্মাণের বিরোধীতা করেছিলেন তাদেরকে এখন নিন্দা বা মন্দ করা ভালো হবে না মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যেমনভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে একইভাবে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
এ সেতু ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশের উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ‘চিহ্ন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে, বাঙ্গালী জাতি পারে, বাংলাদেশ পারে, এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা সারা বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে আমাদের বিরাট অর্জন ও প্রাপ্তি।“
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জাদুর কাঠি, স্বনির্ভরতার প্রতীক এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তির প্রতীক।
“পদ্মা সেতুর এই অর্জনের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সমৃদ্ধের দেশ হয়ে উঠবে।”
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এ সেতু নাগরিক হিসেবে আমার কাছে ঈদের চাঁদ দেখার মতো। ছোটবেলায় যখন, ৮-১০ বছর বয়সে, ঈদের চাঁদ দেখতাম, যেভাবে লাফাতাম, আজকে যদি আমি ছোট থাকতাম, খুশিতে লাফাতাম।
“এই পদ্মা সেতু তো শুধু একটা সেতু নয়, শুধু পারাপার নয়, এই পদ্মা সেতু হল আমাদের সক্ষমতা, আমাদের মর্যাদার প্রতীক।“
তিনি বলেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে উপরে ফেলে, দেশ যে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে একজন সঠিক নেতৃত্ব থাকলে, জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটা প্রমাণ করেছেন।
“আজকে যে মানুষটি কখনোই পদ্মা সেতুতে আসবে না, আসার প্রয়োজন হবে না, সেই মানুষটিও খুশি। আমি সবার মত সেরকমই খুশি।“
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের…এই পদ্মা সেতুর সঙ্গে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ বাংলার প্রায় তিন কোটি মানুষের আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে।
“কাঙ্খিত এ পদ্মা সেতু আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হয়েছে…।“
এ সেতু বাঙ্গালী জাতির অহংকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এ পদ্মা সেতু শুধু একটা রড কংক্রিটের সেতু নয়, সেতু হিসেবে এইটা দেখার সুযোগ নাই। কারণ এই সেতুকে কেন্দ্র করে কল্পিত অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থ প্রত্যাহার করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয়ের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে।“
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :