ঢাকা : সরকারি চাকুরেদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। পাশাপাশি তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো রেশন সুবিধা দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। গতকাল এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ বিভাগকে চিঠি লিখেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামালের সই করা আবেদনে বলা হয়- সচিবালয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কার্যাদিসহ প্রজাতন্ত্রের সব কার্যক্রম সচিবালয় থেকে সম্পাদিত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব কাজ ও সমস্যা মোকাবিলায় প্রতিনিয়তই ছুটির দিনসহ অফিস সময়ের পরও অতিরিক্ত কাজ করতে হয়।
এজন্য আমাদের অতিরিক্ত কোনো আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয় না। পক্ষান্তরে আমাদের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেও দুদক (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (রেশন), এসএসএফ (রেশন ও ৫০% বিশেষ ভাতা), বিজিবি (রেশন ও ৩০% সীমান্তভাতা), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), কারা অধিদফতর (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), বাংলাদেশ পুলিশ (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), এনএসআই (রেশন ও ৩০% বিশেষ ভাতা), কোস্টগার্ড (রেশন ও ৩০% ঝুঁকিভাতা), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদফতর (রেশন ও ৩০% বিশেষ ভাতা), র্যাব (রেশন ও ৭০% ঝুঁকিভাতা), লেজিসলেটিভ বিভাগ (৩০% বিশেষ ভাতা), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (৭০% ঝুঁকিভাতা), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (রেশন ও ৫০% ক্ষতিপূরণ ভাতা)-এর সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা এ সুবিধা পাচ্ছেন। এতে উল্লিখিত কর্মচারীদের সঙ্গে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধার ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এতে আরও বলা হয়- অষ্টম পে-স্কেল জারির পর প্রায় আট বছর পার হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ অন্যান্য বিল কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আরও কয়েক গুণ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ছাড়া কোনো সুবিধাই বাড়ানো হয়নি।
ফলে অনেক কষ্টে আমরা সংসার পরিচালনা করছি। প্রতি পাঁচ বছর পর সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল এবং এর আগে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুবিধা বাড়ানো হয়নি। সরকারি কর্মচারীদের টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা হলে তারা একটু হলেও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট আর্থিক সুবিধার ব্যাপক বৈষম্য দূর করতে দুদকের মতো ন্যায্যমূল্যে রেশন সুবিধা প্রদানসহ টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের অনুরোধ করছি। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :