ঢাকা: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে অবসরে যাচ্ছেন। অবসর প্রস্তুতিজনিত ছুটিকালীন তার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র সহকারী সচিব শফিকুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন : চূড়ান্তভাবে চাকরি হারালেন ইসির ৮৫ কর্মকর্তা
যা বলা হয়েছে চিঠিতে : ড. বেনজীর আহমেদের অবসর প্রস্তুতিজনিত ছুটিকালীন তার নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে গাড়িসহ ১/৬ ফর্মেশনে সাদা পোশাকে এসকর্ট, অস্ত্রসহ ইউনিফর্মধারী দুজন সার্বক্ষণিক দেহরক্ষী এবং ১/৩ ফর্মেশনে হাউসগার্ড সার্বক্ষণিকভাবে মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের অবসরের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন : পণ্য বিক্রি শুরু করছে ইভ্যালি
ড. বেনজীর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি চাকরি থেকে তাকে অবসর প্রদান করা হলো। একই প্রজ্ঞাপনে এক বছরের জন্য তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়। ড. বেনজীর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি চাকরি থেকে তাকে অবসর প্রদান করা হলো। একই প্রজ্ঞাপনে এক বছরের জন্য তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়।
আরও পড়ুন : এসিআর নিয়ে নতুন নির্দেশনা
কর্মজীবন : সপ্তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ ১৯৮৮ সালে পুলিশে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনারসহ বিভিন্ন জেলায় এসপির দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ড. বেনজীর উপমহাদেশের প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশনসের অধীনে মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি কসোভো শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্বও পালন করেন।
সোনালীনিউজ/এম
আপনার মতামত লিখুন :