কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে মিঠামইনে পৌঁছান তিনি। এরপর তিনি বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিঠামইন সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জমিতে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিকতা সেরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বিকাল ৩টায় মিঠামইন সদরে হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফর ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশাপাশি সরকারে উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে সর্বত্র।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভাকে কেন্দ্রে করে কিশোরগঞ্জের এই হাওর অঞ্চলে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সোমবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, পিকআপ ও মোটরসাইকেল চড়ে হাজারো মানুষ প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলে দলে মিঠামইন হ্যালিপেডের সভাস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন।
সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। আবদুল হামিদ তখন ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার। ২৫ বছর পর আবার মিঠামইন সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, “বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আমলে হাওরের এত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এক সময় হাওরে মানুষ আসতে চাইত না, আর এখন দেখতে আসে। প্রধানমন্ত্রীর অবদানের কারণেই এই উন্নয়ন হয়েছে।”
তবে টানা তিন মেয়াদে থাকা বর্তমান সরকারের আমলে অলওয়েদার সড়ক ও সাব মার্জিবল (ডুবো) সড়ক নির্মাণ, স্কুল-কলেজ সরকারিকরণ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ফলে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ ও গতি এসেছে। অনেক বেড়েছে শিক্ষার হার, ফসলের উৎপাদন।
মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একসময়ের পশ্চাৎপদ হাওরে ব্যাপক উন্নয়নের কারণে খেটে-খাওয়া মানুষের জীবন-মান পরিবর্তন হয়েছে। এজন্য মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :