Menu
ঢাকা: ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মাঠ পর্যায়ে দায়িত্বে থাকা সদস্যদের মোটিভেশন এবং মনিটরিংয়ের অভাবের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ডার বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে বিজিবি সদরদপ্তর পিলখানায় ৫৩তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে বিএসএফের লোয়ার লেভেলে যারা কাজ করেন তাদের মোটিভেশনের অভাব বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমি এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়েছি। বিএসএফ যদি তাদের কন্ট্রোলিংয়ের বিষয়টি আরও বাড়ায় এবং এসব বিষয় যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সীমান্ত সম্মেলন চলাকালীনও অনেক সময় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকে। যা অনেকটা কোইন্সিডেন্ট। তবে সীমান্তে যে কোনো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিজিবি কিংবা বিএসএফের জন্য বিব্রতকর।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বা আহতের ঘটনা জোরালোভাবে তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বিএসএফকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনাতে আহবান জানান।
সীমান্ত হত্যা কমানোর আশ্বাস দেন বিএসএফ মহাপরিচালক। এক্ষেত্রে বিএসএফের পক্ষ থেকে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সীমান্তে উভয়পক্ষ পেশাদারত্বের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে সম্মত হয়।
সোনালীনিউজ/আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT