ঢাকা : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান খাদ্য, সম্পদ এবং শক্তির চাহিদা পূরণে সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সমুদ্রমুখী শিক্ষা এবং সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যথাযথ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সচেতন জনসাধারণকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত বহুবিধ কর্মপরিকল্পনা এবং সমুদ্রভিত্তিক দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে এ দেশের সুনীল অর্থনীতি সংক্রান্ত কার্যক্রম পূর্বের চেয়ে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমুদ্রকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে জানা ও ফলিত জ্ঞানের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বুধবার (২১ জুন) ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস’উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্তঃমহাদেশীয় নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন নৌবাণিজ্য নিশ্চিতকরণের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানান।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্র এলাকায় সার্বভৌমত্ব অর্জনের জন্য ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস্ এন্ড মেরিটাইম জোনস্ অ্যাক্ট - ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার সমুদ্র এবং সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির ওপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেশী দেশসমূহের সাথে আইনগতভাবে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বিশাল সমুদ্র এলাকার ওপর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আয়তনে প্রায় দেশের মূল ভূখন্ডের সমান এই বিশাল সমুদ্র এলাকা প্রাকৃতিক সম্পদের এক অপার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব দেশ বিপদগ্রস্ত তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নৌবাণিজ্য ছাড়াও সমুদ্র ও সামুদ্রিক পরিবেশ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্যের অপ্রতুলতা থাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সঠিক নীতি নির্ধারণ করা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আমি আশা করি নৌপরিবহন ও ব্লু-ইকোনমিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় হাইড্রোগ্রাফি সার্ভিস কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই