• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পশু কোরবানির পর চলছে চামড়া সংগ্রহের কাজ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৯, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
পশু কোরবানির পর চলছে চামড়া সংগ্রহের কাজ

ছবি : সংগৃহীত

মো. জাহাঙ্গীর আলম। মিরপুর ৬০ ফিট পাকা মসজিদের কাছে একটি মাংস বিতান রয়েছে তার। অন্যান্য সময় মাংস বিক্রি করলেও কোরবানির ঈদে স্থানীয় এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে ট্যানারিতে বিক্রি করেন। এদিকে, কোরবানির পশু জবাই করে দিচ্ছে মাদরাসার কোনো কোনো শিক্ষার্থী। বিনিময়ে তাদের চামড়া দান করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) কোরবানি শেষে বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।

আরেক জন তারিকুল ইসলাম। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। চামড়া কেনার অভিজ্ঞতা না থাকলেও কয়েকজন স্থানীয় বন্ধু মিলে চামড়া ব্যবসায় নেমে পড়েছেন। নিজ মহল্লা ও আত্মীয়দের কাছ থেকে নামকাওয়াস্তে টাকা দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করছেন। শুধু তারিকুল ইসলাম নয় শত শত মৌসুমী ব্যবসায়ী মিরপুরজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চামড়া সংগ্রহের কাজে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মৌসুমি ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চামড়া সংগ্রহ করছে। চামড়া বিক্রি করে পরে টাকা দেওয়ার শর্তে সংগ্রহ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

পাকা মসজিদ এলাকার কামরুল ইসলাম। ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানি দিয়েছেন। চামড়া কি করলেন এমন প্রশ্ন করলে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এক চাচাতো ভাই চামড়া নিয়ে গেছে বিক্রি করে পরে টাকা দেবে।

অনেকে মাদরাসায় দান করছেন চামড়া। বর্ধিত পল্লবীর আবু তাহের বলেন, আমি গরুর চামড়া স্থানীয় মাদরাসায় দান করেছি।

মিরপুর ৬০ ফিটের মাদিনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও কোরবানির পশু জবাই দিয়ে চামড়া সংগ্রহ করছেন।

এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কোরবানির পশু জবাই দিয়ে থাকি। আমাদের কোনো দাবি থাকে না। কিন্তু অনেকে আল্লাহর ওয়াস্তে আমাদের মাদরাসায় কোরবানির চামড়া দান করে দিচ্ছে।

লালবাগ পোস্তার আড়তদার ও অনেক ট্যানারির মালিক কাঁচা চামড়া কিনছেন।

এদিকে, কোরবানির পর দুপুর থেকেই মিরপুর, পল্লবী, মিরপুর-১, মিরপুর-২, বর্ধিত পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন মৌসুমি সংগ্রহকারীরা। বিভিন্ন সড়কে জমছে কাঁচা চামড়ার স্তূপ।

চারদিন আগে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪ টাকা বেড়েছে।

ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, গত বছর এই দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।

ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, গতবছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল। এ ছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!