ঢাকা: বাস-লঞ্চ ও ট্রেন স্টেশনে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। ঈদযাত্রার শুরুতে সড়কে অনেক ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ট্রেনেও ছিলো না টিকিট। সব মিলিয়ে নানান ব্যস্ততায় অনেকেই বাড়ি যেতে পারেননি। তাই আজ বাড়ি যাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার (৩০ জুন) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কাউন্টারগুলোতে। মূলত ঢাকার আশপাশের ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর অঞ্চলের যাত্রী বেশি। তাছাড়া তাদের মধ্যে দূরপাল্লার যাত্রীও রয়েছে।
সাকুরা পরিবহনে স্বপরিবারে ঢাকা ছাড়ছেন শিমুল হাওলাদার। তিনি বলেন, আমার অফিস ছুটি হয়েছিল ২৮ তারিখ। কিন্তু তখন যে পরিমাণ যাত্রীর চাপ ছিল, টিকিট আর কিনতে পারিনি। তাই ভাবলাম ঈদের পরেই যাই।
এদিকে এনা পরিবহনে করে আল আমিন শেখ যাচ্ছেন ময়মনসিংহে। তিনি বলেন, এক বাসায় দারোয়ানের চাকরি করি। কালকে গরু কোরবানি হইছে। তাই আজকে গরুর গোস্ত নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারের কাছে যাওয়ার পর আমার আনন্দ শুরু হবে। ঈদের আগে গেলে এই গোস্তগুলা নিতে পারতাম না।
গাইবান্ধাগামী আনোয়ার কাজ করেন রাজমিস্ত্রির। তিনি বলেন, ঈদের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ ছিল। সেগুলো শেষ করে বেতন বোনাস নিয়ে এখন বাড়িতে যাচ্ছি।
আফিফা আহমেদের সাথে কথা হয়। তিনি রাজশাহী জাচ্ছেন পরিবার নিয়ে। বলেন, শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। কোরবানির দিন নানান ব্যস্ততা থাকে। সেগুলো শেষ করেই আজ বাড়ি যাচ্ছি।
এদিকে ঈদের আগের দিন বাসের শিডিউলবিপর্যয় দেখা গেলেও আজ সেসব পরিলক্ষিত হয়নি। নির্ধারিত সময়ের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট পরপরই প্রতিটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে।
গাবতলী হানিফ বাসের কাউন্টারের ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাসের শিডিউলে কোনো সমস্যা নেই। সময় মতোই সব বাস ছেড়ে যাচ্ছে। নানা কারণে যারা ঈদে বাড়ি যেতে পারেননি, তারা আজ যাচ্ছেন। রাস্তা ফাঁকা থাকায় আরামেই বাড়ি যেতে পারছেন যাত্রীরা।
এদিকে, সকালে সদরঘাটে যাত্রীদের তেমন কোনো ভীড় দেখা যায়নি। তবে দুপুরের পর যাত্রী আসতে শুরু করে সদরঘাটে। লঞ্চগুলোতে চাদর বিছিয়ে বসতে শুরু করেন যাত্রীরা। মুলাদীগামী আহমেদ পাটোয়ারি বলেন, আমি পিয়নের চাকরি করি। স্যারদের বাসায় কোরবানি হইছে। সেইসব গোস্ত নিয়ে আজকে বাড়ি ফিরছি। পরিবারের জন্য এসব গোস্ত নিয়ে যাচ্ছি।
পিরোজপুরগামী কাজল বলেন, কুরবানি ঢাকায় করেছি। আত্মীয়স্বজন বাড়িতে আছে। তাদের জন্য গোস্ত নিয়ে এখণ লঞ্চে বরিশাল যাচ্চি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের স্বাদ ভিন্ন। তবে ঢাকায় কোরবানি করতে হয়েছে। এখানেও কিছু আত্মীয়স্বজন রয়েছে।
এদিকে, কমলাপুরেও বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। যারা কোরবানিকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এসেছেন তারা বাড়ি ফিরছেন।
সোনালীনিউজ/এআর