• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ রয়ে গেছে : ডিএমপি কমিশনার 


নিজস্ব প্রতিনিধি জুলাই ১, ২০২৩, ১১:৪৮ এএম
জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ রয়ে গেছে : ডিএমপি কমিশনার 

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)  কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। 

শনিবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় শহীদ দুই পুলিশ সদস্যের মুড়ালে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ থেকে ৭ বছর আগে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই হলি আর্টিজানে বিদেশী নাগরিকদের অতর্কিতভাবে জঙ্গিদের জিম্মি করা ও তাদের হত্যা করা হয়। এসময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের দুই জন সিনিয়র পুলিশ সদস্য শহীদ হন। আজকেও আমাদের মনে এইটা দগ্ধ দগ্ধে ঘায়ের মতো জ্বলে। দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশের  উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে বিগত ২০১৫-১৬ সালে জঙ্গি হামলা ঘটানো হয়। হলি আর্টিজান হামলার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে।  

তিনি বলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ ও জনগণ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।  সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, আমরা বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের উৎখাত করব, আপনারা ফিরে আসেন। তার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা দেশে ফিরে আসেন এবং আমাদের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা, গ্রেপ্তার করা ও বিচারে সোপর্দ করা অব্যহত ছিলো। ফলে সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, আমরা বলব যে এইটা নিয়ন্ত্রণে আছে। 

তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজান হামলায় বিদেশী সহ মোট ২২ জন নিহত হন। এই ঘটনায় সিটিটিসি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।  যদিও এ ঘটনার অনেক অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান।  আর বাকিদের সাঁজা হয়ে গেছে। আমরা এখন অনেকটা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আশা করি ভবিষ্যতে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেএমবি, নব্য জেএমবিসহ জঙ্গিবাদ নাই বলেও চলে। তবে জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে। তবে নতুন কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে শারক্বীয়া একটা। এই সংগঠনের ডাকে অনেক তরুণ কথিত হিজরতের নামে পাহাড়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো। আমাদের পুলিশ র‍্যাব তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। আবার অনেকে ভুল বুঝতে পারে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা কয়েক দিন আগেও শারক্বীয়ার প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আশা করছি তারা যে নামেই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ স্থান পাবে না।

অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিইউ, সিটিটিসি ও র‍্যাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও খোঁজ খবর নেওয়া কাজ করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের বিষয়ে মানুষ জনকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন সময় নানা প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি এবং করেছি। যারা দুই চার জন ভুল পথে যাওয়া চিন্তাভাবনা ছিলো, তাদেরকে যদি ইসলামের সঠিক আদর্শটা তুলে ধরতে পারি, আমাদের বিভিন্ন মাওলানা সাহেব ও বিজ্ঞ আলেম সমাজ যারা আছেন তারও বিভিন্ন ধর্ম সভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমরা আশা করছি এভাবে আমাদের মুষ্টিমেয় তরুণ ছেলে-মেয়ে বিপথে গিয়েছিলো তারা ফিরে আসবে।

সোনালীনিউজ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!