ঢাকা: দেশের বিভিন্ন সীমান্ত ও স্থলবন্দরগুলোতে অভিযান চালিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার চোরাচালান পন্যসামগ্রী, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবরুদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
রোবার (২ জুলাই) বিজিবি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জনসংযোগ কর্মকর্ত মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১১ কেজি ২২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা। ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী। ৭ হাজার ১৬৮টি ইমিটেশন গহনা। ২২ হাজার ৩২০টি শাড়ী। ২ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/লেহেঙ্গা/শার্টপিস/চাদর/কম্বল। ১ হাজার ৭৯৩টি তৈরী পোশাক। ২ হাজার ৫২৬ ঘনফুট কাঠ। ৮ হাজার ৮২৯ কেজি চা পাতা। ২২ হাজার ৫০ কেজি কয়লা। ১ হাজার ৯১৭ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল। ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি। ৬০ কেজি কচ্ছপের হাড়। ৭২৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার। ৬টি ট্রাক, ১৪টি পিকআপ/ট্রাক্টর/ট্রলি, ২টি বাস, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৬টি মোটরসাইকেল।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ১০ কেজি পেট্রোল বোমা তৈরীর পাউডার। এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। ৭ কেজি ৩৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস। ২৬ কেজি ৩ গ্রাম হেরোইন। ১৫ হাজার ৩৭৪ বোতল ফেনসিডিল, ও ১৬ হাজার ৭৯৩ বোতল বিদেশী মদ। ৩ হাজার ৫৩৯ ক্যান বিয়ার ও ১ হাজার ৭৫৮ কেজি গাঁজা। ৮ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট। ৪ বোতল লাইসার্জিক এসিড ডাইইথাইলঅ্যামাইড (এলএসডি)। ৪৯ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন/ট্যাবলেট। ২ হাজার ৫৪৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট। ২ হাজার ১০২টি ইস্কাফ সিরাপ। ১ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল। ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
জনসংযোগ কর্মকর্ত মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৩ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৮৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩৭ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এলআই/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :