ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু কমিশনের চেয়ারম্যান ড. রাব্বী আলম। এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ও তার দপ্তরকেও বিবাদী করা হয়েছে বলে তিনি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন।
এ মামলা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিডিয়ায় বাহবা পাওয়া জন্য কেউ হয়তো এটা করেছেন। তবে মূল উদ্দেশ্য কী আমি জানি না, আমার এটা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ দিন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, মার্কিন ভিসানীতি প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ‘মামলা’ করেছেন তিন বাংলাদেশি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। এটা ওনাদের জিজ্ঞেস করেন। এটা হয়তো মিডিয়ায় বাহবা পাওয়া জন্য কেউ করেছেন। মূল উদ্দেশ্য কী আমি জানি না, আমার এটা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
সাংবাদিকরা আরও প্রশ্ন করেন, যারা ভিসানীতির প্রত্যাহার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলার আবেদন করেছেন, তাদের তো রাজনৈতিক পরিচয় আছে এবং তারা আওয়ামী লীগ করেন।
এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, তারা সত্যি সত্যি আওয়ামী লীগ নাকি নিজে নিজে আওয়ামী লীগ? ইদানীং আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় বহু লোক যারা আগে জামায়াত করতো, যারা আগে উল্টা দল করতো, তারা এখন নিজেদের আওয়ামী লীগের লোক বলে বেড়ায়।
ড. মোমেন বলেন, আর হয়তো আওয়ামী লীগের কোনো নেতার সঙ্গে ছবি তুলে ফেলেছে, ছবি দেখিয়ে বলবে আমি আওয়ামী লীগ। এগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী লোক, সুবিধাবাধী লোক করে। আমাদের সুবিধাবাধী লোকের কোনো অভাব নেই। ঈদের সময়ে আমার সঙ্গে অনেকে ছবি তুলেছেন। এদের সবাই তো আওয়ামী লীগ না। হয়তো এদের অনেকে ছবি তুলে বলবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ছবি আছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে লজিস্টিক সাপোর্ট চেয়েছেন। আমরা বলেছি, সেটা দেব।
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবাসন কোনো বাধা হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাঁচ দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। সফরের প্রথম দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় তার এই বাংলাদেশ সফর।
উল্লেখ্য, রাব্বী আলম মামলা করেছেন না কি মামলার আবেদন করেছেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কী অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, তাও পরিষ্কার করেননি বাদী।
এই মামলার আবেদনে রাব্বীর সঙ্গে বাদী হিসেবে আরও আছেন রিজভী আলম ও শেরে আলম রাসু নামে সাবেক দুই প্রবাসী ছাত্রলীগ নেতা।
এর আগে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রচারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন এই ড. রাব্বি আলম। সে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :