• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ওয়েবসাইটের দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস: পলক


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৯, ২০২৩, ০২:০৬ পিএম
ওয়েবসাইটের দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস: পলক

ঢাকা : সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি বলে জানিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

রোববার (৯ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন বার্তাসংস্থা টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ লাখ লাখ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।

এবিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়েবসাইটটির নিজস্ব দুর্বলতার কারণে যে কেউ এই ব্যক্তিগত উপাত্ত দেখার সুযোগ পেয়ে যান। তবে তিনি ওয়েবসাইটটির নাম বলেননি।

টেকক্রাঞ্চ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ জুন ফাঁস হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যগুলো দেখতে পান মারকোপাওলোস। এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন মারকোপাওলোস।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করেছে টেকক্রাঞ্চ। এতে ফাঁস হওয়া ডেটাবেজের মধ্যে থাকা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ব্যক্তির নাম, কারও কারও বাবা-মায়ের নাম পাওয়া গেছে এমনকি অন্য তথ্যগুলোও ওই ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে। ১০টি ভিন্ন ধরনের ডেটা ব্যবহার করে এ পরীক্ষা চালায় টেকক্রাঞ্চ।

তবে ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে থাকায় সেই সরকারি ওয়েবসাইটির নাম জানায়নি টেকক্রাঞ্চ।

মার্কোপোলোস জানায়, এই তথ্য ফাঁসের খবর আমরা কোন বাংলাদেশি সরকারি সংস্থার কাছ থেকে শুনতে পাইনি। তবে এই তথ্য ফাঁসের সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য ইমেইল করেছি।

তিনি আরও বলেন, এই তথ্যগুলো খোঁজার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি। গুগলে সার্চ করার সময় ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো আপনা আপনিই হাজির হয়েছে। তথ্যগুলো খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান মার্কোপোলোস।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে বাংলাদেশের সিইআরটি, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক সিটিতে তাদের কনস্যুলেটে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মারকোপাওলোস মনে করেন, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ঢোকা, অ্যাপ্লিকেশনগুলো মডিফাই বা ডিলিট করাসহ জন্মনিবন্ধনের রেকর্ড যাচাই করতে ফাঁস হওয়া এ তথ্যগুলো ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!