ঢাকা: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিসিএসের ছয়টি ব্যাচের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকবেন। এর মধ্যে ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা জেলাগুলোতে ডিসির পদে থাকবেন, যারা সেই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন।
৩৩, ৩৪ ও ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা থাকবেন ইউএনও পদে, যারা পালন করবেন সেই নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব।
২৫তম বিসিএসের কর্মকর্তারা ২০০৬ সালের অগাস্টে চাকরিতে যোগ দেন। আর ২০০৮ সালের নভেম্বরে ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তারা নিয়োগ পান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, “২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ডিসির পদ থেকে তুলে সেখানে ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।”
২২তম ব্যাচের ২০ জন ডিসির দায়িত্বে ছিলেন। পাশাপাশি ২৪তম ব্যাচের ২৯ জন এবং ২৫তম ব্যাচের ১৫ জন কর্মকর্তা বর্তমানে ডিসির দায়িত্বে রয়েছেন।
উপসচিব পদমর্যাদার ২২তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার পাশাপাশি জেলা থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। এর মধ্যে তিন দিনের ব্যবধানে দুটি প্রজ্ঞাপনে ২০ জনকে জেলা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, “চলতি মাসের মধ্যে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। ২২তম ব্যাচের সব কর্মকর্তাকে ডিসির পদ থেকে তুলে আনা হবে।”
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিসি হিসেবে কর্মরত ২২তম বিসিএস ব্যাচের ২০ জন কর্মকর্তা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির আওতায় আসবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নতুনদেরও এই মাসের মধ্যেই পদায়ন শেষ করতে চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইউএনও হিসেবে ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নতুন করে পদায়ন করা হচ্ছে। আগে থেকে ৩৩ ও ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ইউএনও দায়িত্বে আছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ডিসির দায়িত্ব দিতে ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ফিটলিস্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৫তম ব্যাচের ১৫ জন কর্মকর্তা ডিসির দায়িত্বে আছেন, এই ব্যাচ থেকে আরও কয়েকজনকে ডিসি করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ফিটলিস্ট তৈরি করা হবে। তবে নির্বাচনের আগে তাদের ওই দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। নতুন করে ২৭তম ব্যাচ থেকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ৩৪ ও ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ইউএনও করতে তাদের ফিটলস্ট চূড়ান্ত করে উপজেলা প্রশাসন ও উন্নয়ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ইউএনওর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে; এই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের ২৯১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ২৪তম ব্যাচের দুয়েকজন কর্মকর্তাকে ডিসির পদ থেকে তুলে আনা হতে পারে। নির্বাচনের সময় যারা ডিসির দায়িত্বে থাকবেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তাদের সবার ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে পরিবার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো যাচাই করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে তাকে আর ডিসির পদে রাখা হবে না।
সোনালীনিউজ/এআর