• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

চিকিৎসকদের গ্রামীণ অঞ্চলে থেকে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১০, ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম
চিকিৎসকদের গ্রামীণ অঞ্চলে থেকে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা : দেশের চিকিৎসা সেবার আরও উন্নতি সাধনের জন্য চিকিৎসকদের গবেষণার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের জেলা, উপজেলা পর্যায়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মিলন অডিটরিয়ামে ৭৮তম ডিএমসি' ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আমাদের নতুন পরিকল্পনা রয়েছে। এটি আরও সুন্দর ও আধুনিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে উঠবে। এর কাজ খুব তাড়াতাড়িই শুরু করতে পারবো।

তিনি বলেন, দেশের কোন এলাকায় জনসংখ্যা কত, তার কত শতাংশ হাসপাতালে আছে, সেসব নিয়ে সার্ভে করেছি। যাতে সবার জন্য পর্যাপ্ত সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।

ঢাকা মেডিকেল থেকেই মানুষ সবচেয়ে ভালো সেবা পায়। কারাগারে থাকাকালে আমিও তাদের সেবা পেয়েছিলাম। দুঃখের বিষয় সব চিকিৎসকই ঢাকায় থাকতে চান, গ্রাম পর্যায়ে যেতে চান না। এখন গ্রামেও বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট আছে, যেখানে পোস্টিং পাবেন, সেখানে যাবেন। আপনাদের জন্য মফস্বলের বা জেলা পর্যায়ে অনেক হাসপাতালে অপারেশন হয় না। অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার লোক নাই, গাইনির সার্জন নাই। এসব আর দেখতে চাই না। গ্রামকে আমরা শহরে রূপান্তর করে চাই।

তিনি বলেন, ডিএমসি ঢাবির অধীনেই থাকবে। নতুন কিছু করে পুরনো সুনাম নষ্ট করতে চাই না। নতুন পরিকল্পনায় কেবল সেবা ও মানোন্নয়নে কাজ করবে।

তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব, হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করেন। গবেষণার জন্য আমরা অনুদান দেই। কাজেই গবেষণার দিকে চিকিৎসকদের দৃষ্টি দিতে হবে।

বর্তমানে সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশে মশা কামড় দিলেও দায় সরকারের! কিন্তু সেজন্য নিজেদের সচেতন হওয়াও জরুরি। মশা যাতে না জন্মাতে পারে সেজন্য নিজের বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রায় ১২শ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। এদের মধ্যে বিদেশিরাও রয়েছেন। প্রতিদিন ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন। ২৬শ বেডের হাসপাতালে ভর্তি থাকেন ৪ হাজার রোগী। এজন্য আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ ও ঘাটতি রয়েছে। আমরা তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি। সকল হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!