• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২১, ২০২৩, ১২:০৩ পিএম
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঢাকা: একুশ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভয়ঙ্কর সেই হামলার বার্ষিকীতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমেই তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আলোচনায় সভায় যোগ দিতে মঞ্চে ওঠার আগে ২১ আগস্ট হামলায় আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিক সামনেই রাস্তার ওপর একটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের জন্য।

সেখানে বোমা হামলায় নিহত হন ২৪ জন। হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের তৈরি মানবঢালে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট সেই হত্যাকাণ্ড স্তব্ধ করে দেয় জাতিকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের ১৯ বছর পূর্তিতে সোমবার নানা কর্মসূচিতে স্মরণ করা হচ্ছে দিনটি।

দিবসটি উপলক্ষে এক বানীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এ দিনে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। 

এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা; আমাকে হত্যাসহ বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা।

“মহান আল্লাহতায়া’লার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী।”

ওই হামলায় আহতদের অনেকে এখনও পঙ্গুত্বের অভিশাপ বহন করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকে দেহে স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।”

২১ অগাস্ট হামলায় নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

এআর

Wordbridge School
Link copied!