ঢাকা : বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত একটি মেগা অবকাঠামো প্রকল্প। যেটি ঢাকার যানজট এবং যাতায়াতের খরচ অনেকাংশে কমিয়ে আনার বড় আশা নিয়ে আজ চালু হতে চলেছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং থ্রি হুইলার চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
এটি উন্মুক্ত হলে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির একটি গাড়ির সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, প্রথম চুক্তিটি ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি সই হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সংশোধিত চুক্তি সই হয়েছিল। প্রকল্পটি সমাপ্তির সময়কাল ছিল প্রথম চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের ১৯ দশমিক ৭৩কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালীকে সংযুক্ত করবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলকারী যানবাহনকে টোল দিতে হবে, যা চারটি বিভাগে আদায় করা হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিকল্প উত্তর-দক্ষিণ রুট হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
অন্যদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। এতে রাজধানী শহরের অভ্যন্তরে যাতায়াতের সময় ও যানজট কমবে।
এমটিআই