ঢাকা : মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এমনকি লাখো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হলে তা গোটা অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) আয়োজিত ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব কথা বলেন।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান ও ১৮তম ‘ইস্ট এশিয়া সামিটে’ অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়া সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। জীবন বাঁচাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
ইস্ট এশিয়া সামিটে তিনি আরও বলেন, শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার কমতি হলে তা গোট অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আসিয়ানের সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিশেষ আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
তিনদিনব্যাপী এবারের সম্মেলনে আসিয়ানের সদস্য দেশ এবং এর সহযোগী দেশগুলো ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নেন। আসিয়ান ও ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদানের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মো. সাহাবুদ্দিন।
আশিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর মধ্যে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জ্বালানি, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ঢাকা ও জাকার্তা। বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এর আগে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া জ্বালানি ও স্বাস্থ্য খাতে তিনটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে, এতে দু’দেশের কল্যাণে কাজ করতে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
এমটিআই