• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর, যা বললেন ডিএমপি কমিশনার


নিজস্ব প্রতিবেদক  সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ০১:১৭ পিএম
থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর, যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে গতকাল শনিবার রাতে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে আজ রোববার সকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

মারধরের শিকার দুই নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। ঘটনার পর আহতদের একজন হাসপাতালে ভর্তি, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে মধ্যরাতে শাহবাগ থানার সামনে ভিড় করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতেই ঘটনা মীমাংসা করেন বলে জানা গেছে।

তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ছাত্রলীগের নেতাদের দাবি, এডিসি হারুন শনিবার বিকেলে ৩১তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী পরিচয় দেওয়া ৩১তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে নিয়ে সেখানে যান।

একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে।

তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের দুই নেতা এডিসি হারুনের ওপর বেশি মারমুখী ছিলেন। পরে পুলিশ কর্তা হারুন থানায় এসে ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে এডিসি হারুন অর রশিদকে ফোন করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!