• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কে এই এডিসি হারুন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম
কে এই এডিসি হারুন

ঢাকা : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে পেটানোর পর বিপাকে পড়েছেন রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদ।  রমনা থেকে প্রত্যাহার করে তাকে এবিপিএনে যুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও তাকে ঘিরে রয়েছে নানা বিতর্কিত ঘটনা। গত কয়েক বছরে ৩১তম বিসিএসের এই পুলিশ কর্মকর্তা একের পর এক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হওয়ার পর থেকেই অনেকটা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবসময়েই তিনি পার পেয়ে গেছেন। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধরের পর রোববার তাকে রমনা জোনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

জানা যায়, হারুন-অর-রশীদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামের মাড়িয়ালায়। ১৯৮৮ সালের জুনে জন্মের পর প্রাথমিক পাঠ নিয়েছেন এলাকাতেই। এরপর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ২০০৫-০৬ সেশনে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওঠেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি বিএম মারুফ বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, হারুনের বাড়ি আমার বাড়ি একই এলাকায়। আমি সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সভাপতি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক ছিলাম। কেন্দ্রের উপসম্পাদক ছিলাম। আমি কখনোই হারুনকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ করতে দেখিনি।

হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হলে উঠে হারুন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। সরকার পরিবর্তন হলে হলটির অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। পুলিশের এএসপি হয়ে গেলে তাদের মধ্যে সখ্য বাড়ে। ততদিনে ওই ছাত্রলীগ নেতাও কেন্দ্রের বড় নেতা হয়ে যান। এরপর থেকে ছাত্রলীগ নেতার বন্ধু হিসাবে বিভিন্ন মহলে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। ডিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে পরিচিত রমনা জোনের এডিসি হিসাবে পদায়ন হয় তার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলটির সাবেক আরেক সহ-সভাপতি গণমাধ্যমকে বলেন, হারুন জিয়া হলে ওঠেন ছাত্রদলের রাজনৈতিক রুম ২০৮-এ। এর পর ছাত্রদলের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত ৩১০ নম্বর কক্ষে ছিলেন। বন্ধু ছাত্রলীগ নেতার সূত্রে আরও অনেক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সেই সুবিধা নিয়ে হলে কোনো পদ না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কমিটি গঠনের পর বর্ধিত কমিটিতে সহসম্পাদক পদ নেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!