• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ফ্রিল্যান্সারদের সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৪:৩৪ পিএম
ফ্রিল্যান্সারদের সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

ঢাকা : ফ্রিল্যান্সিং খাতে ১০ শতাংশ উৎসে কর নিয়ে চলা বিতর্কের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানালেন, করমুক্ত থাকছে ফ্রিল্যান্সিংখাত।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে ‘বিএফএসআই ক্লাউড ও সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ক এ কর্মশালার আয়োজন করে ফেলিসিটি ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার।

পলক বলেন, আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে না ফ্রিল্যান্সারদের। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের সঙ্গে আলোচনার পর এ ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের বিপরীতে ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের বিধান রেখে পাস হওয়া নতুন আয়কর আইন বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরপর গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারির পর শুরু হয় সমালোচনা। এর মধ্যেই সুখবর এলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছ থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করে দেয়া এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়, আয়কর আইনের ১২৪ ধারায় উৎসে কর কেটে নির্ধারিত কোডের অনুকূলে জমা দেয়ার অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত কোডে জমা করতে ব্যর্থ হলে আয়কর আইনের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আয়কর আইন অনুযায়ী, ফি, সেবা চার্জ বা পারিশ্রমিক বা প্রকৃতির রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে কাজের বিনিময়ে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ কোনো ব্যক্তির হিসাবে পরিশোধ বা জমা প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রাপকের হিসাবে অর্থ পরিশোধ বা জমা প্রদানকালে উক্ত পরিশোধিত বা জমাকৃত অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর কর্তন করবেন।

এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে প্রদত্ত কোনো সেবা, কোনো বিদেশি ব্যক্তিকে পরিষেবা প্রদান এবং বিজ্ঞাপন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের অনুমতি প্রদান।

তবে এ নির্দেশনাকে অগ্রহণযোগ্য বলে বলে মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে খাতটি। সেই সঙ্গে বৈধ পথে বৈদেশিক মুদ্রা আসার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অনলাইনে লেনদেন হবে, হুন্ডিতে টাকা আসবে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!