নীলফামারী : উজান থেকে তিস্তা নদী হয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে আকস্মিক বন্যা।
বুধবার (৪ অক্টোবর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর ডালিয়া বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র নিশ্চিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ভয়াবহ ঢলের আগাম পূর্বাভাসে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চর ও গ্রামের বসতীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন মাঠে নেমেছে। অপরদিকে সকাল থেকে এ অঞ্চলে চলছে বৃষ্টিপাত। ফলে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখে নজরদারী করা হচ্ছে। নদীপাড়ের মানুষজনকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকযোগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকা দিয়ে মানুষজনকে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, তিস্তা নদীতে উজান থেকে হড়পা বান ধেয়ে আসছে এমন আগাম খবরে সতর্কবার্তা গ্রহণ করা হয়েছে। নীলফামারীর কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে তিস্তা নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই প্রথম ধাক্কা এ জেলার উপর দিয়ে আসতে পারে। এ জন্য এলাকায় মাইকিংসহ মানুষজনকে সর্তক করে তিস্তা চর ও গ্রাম এলাকা ও বাঁধে বসবাস কারীদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, ভারতের উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানি প্রবল বেগে ভয়ঙ্করভাবে ঢল নেমে আসছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হড়পা বান (আকস্মিক বন্যা) বলা হচ্ছে এটিকে।
তিনি বলেন, ভারত উজানের জলপাইগুড়ি ও তিস্তা নদীতে সর্তকতা জারী করেছে। সেই পানি তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে বলে ভারতের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আমাদের জানিয়েছে। আজ দুপুরের পর সেই পানি প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। এ জন্য আমরা সকল প্রকার সতর্কাবস্থান নিয়েছি। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে মানুষজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এমটিআই