ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল কেউ ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে রেল যোগাযোগ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। আজকে যারা সুষ্ঠু ভোটের কথা বলে, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। যারা নির্বাচনের ধুয়া তুলে, আর প্রতিদিন আমাদের ক্ষমতা থেকে হটায়, তারা অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। তাদের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত থেকে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান বলেন, ভোট চুরি করা ছাড়া তারা কোনোদিন ক্ষমতায় আসেনি। যে কারণে ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট ৩০০ আসনে মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল। তারপর থেকে নির্বাচন তারা নির্বাচন বয়কট, নির্বাচন নিয়ে খেলা, আগুন সন্ত্রাসে মেতে আছে।
এর আগে, পদ্মা সেতু হয়ে রেল উদ্বোধনের জন্য মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১১টায় তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান। এর আগের সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু হয়ে রেলপথের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন এক রেলযুগে প্রবেশ করবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
উদ্বোধনের পর মাওয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যাত্রী হওয়ার কথা রয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
নতুন রেলপথটি ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাদারীপুর-ফরিদপুর গেছে। আগামী বছর এই রেলপথের বাকি অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত চালুর লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
খুশির এ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন সড়ক সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন ও ডিজিটাল ডিসপ্লে দিয়ে। এসবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে শুভেচ্ছা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা জানান, ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে দুই লক্ষাধিক মানুষ জমায়েতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ফরিদপুরে সর্বশেষ জনসভা করেন শহরের রাজেন্দ্র কলেজে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :