ঢাকা : মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উদারভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন কানাডিয়ান সহকারী উপমন্ত্রী ওয়েলডন এপ। তিনি এই সংকট মোকাবেলায় কানাডার অংশীদারিত্ব অটুট রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
কানাডার রাজধানী অটোয়ায় কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি পঞ্চম বাংলাদেশ-কানাডা ফরেন অফিস কনসালটেশন্স অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রোববার (২৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যকার এই কনসালটেশন্সে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। অপরদিকে, কানাডা দলের নেতৃত্ব দেন কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী উপমন্ত্রী (এশিয়া প্যাসিফিক) ওয়েলডন এপ।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কারিগরি সহায়তা, অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলাসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব এসময় মূল্যবোধের সাজুয্য ও পারষ্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ-কানাডা সুদৃঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। কানাডার সহকারী উপমন্ত্রী বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৈঠকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার প্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুমুখীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য একটি কারিগরি গ্রুপ গঠনে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। উভয় দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে একযোগে কাজ করতেও সম্মত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের সেবা খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতার উন্নয়ন, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিশুদ্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও প্রযুক্তি এবং কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরনে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা হতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন।
কানাডার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী ডেভিড মরিসন আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজে জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমসাময়িক ইস্যুতে আলোচনা হয়।
বৈঠকে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলমসহ অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কানাডার পক্ষে এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলসসহ কানাডা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এমটিআই